হাওজা নিউজ এজেন্সি: এই ঐতিহাসিক সাক্ষাতে মুসলিম বিশ্বের প্রধান দুই দেশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করে এবং সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করে।
১. পারস্পরিক কল্যাণ ও পরিপূরক সম্পর্ক
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী উল্লেখ করেন, “ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। আমরা একে অপরের পরিপূরক হতে পারি।”
তিনি ইরানের প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে সৌদি আরবকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
২. বাধা অতিক্রমের প্রতিশ্রুতি
সর্বোচ্চ নেতা সতর্ক করেন যে, “কিছু শক্তি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। তবে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।” তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহিঃরাষ্ট্রীয় নির্ভরতা কমানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
৩. সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ইতিবাচক অবস্থান
খালিদ বিন সালমান জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের এজেন্ডা হলো ইরানের সাথে সর্বক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারিত করা। গঠনমূলক আলোচনা মাধ্যমে আমরা অতীতের সকল বিভেদ অতিক্রম করতে চাই।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ
২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পর এটিই দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বিশেষজ্ঞরা এটিকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ইয়েমেন সংকট সমাধানের ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
উভয় দেশ অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা ও শক্তি খাতে যৌথ কর্মগ্রুপ গঠনের কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। আগামী মাসে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তেহরান সফরেরও কথা রয়েছে।
আপনার কমেন্ট