সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ - ০৮:৫১
উপদেশ দেয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি!

এক মুমিন ভাই, অপর মুমিন ভাইয়ের আয়না স্বরূপ। তাই যথাযোগ্য মর্যাদা ও পদ্ধতিতে একে অপরের ভুল-ত্রুটি শুধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেয়া উচিত।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.) বলেছেন,
مَنْ وَعَظَ اَخاهُ سِرّا فَقَدْ زانَهُ وَ مَنْ وَعَـظَـهُ عَلانيَةً فَقَدْ شانَهُ
যে ব্যক্তি তার ধর্মীয় ভাইকে একান্ত গোপনে উপদেশ দেয়, সে তাকে সম্মানিত ও সজ্জিত করে। আর যে প্রকাশ্যে তাকে উপদেশ দেয়, সে তাকে অপমান ও অপদস্ত করে।

[তুহাফুল উকুল, পৃষ্ঠা- ৪৮৯] 

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
উপদেশ দেওয়ার সময় গোপনীয়তা ও সৌজন্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোপনে উপদেশ দিলে মানুষ সংশোধনের সুযোগ পায় এবং তার সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকে। কিন্তু প্রকাশ্যে সমালোচনা করলে তা লজ্জা ও ক্ষোভের কারণ হয়, যা সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। ইসলামে ভাইয়ের সম্মান রক্ষা করা এবং সদয়ভাবে সৎপথে আহ্বান করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। 

নসিহতের সঠিক পদ্ধতি: নম্রতা, গোপনীয়তা ও ভালোবাসা নিয়ে উপদেশ দিন। 
নসিহতের ভুল পদ্ধতি: প্রকাশ্যে বা কঠোর ভাষায় সমালোচনা করা।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha