হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘হাওজা ও বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র’-এর প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন ড. সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ বাকির সাঈদি রোশনের সঙ্গে সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহ শাবজেন্দেহদার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “অনেক কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠান, যেগুলো সরাসরি হাওজার অন্তর্ভুক্ত নয়, বর্তমানে বেড়ে উঠছে এবং বিকাশ লাভ করছে। এদের অনেকেই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত হয় এবং হাওজার জন্য একপ্রকার প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করছে — বিশেষ করে সুযোগ-সুবিধা এবং ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান অনেক সময় হাওজার মূল ধারার আলেমদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় না।”
হাওজার ভাবনার স্বাতন্ত্র্য ও সংবেদনশীলতা রক্ষা প্রয়োজন
আয়াতুল্লাহ শাবজেনদেহদার জোর দিয়ে বলেন,
“হাওজা নিশ্চয়ই এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার হাওজার আওতায় ফিরিয়ে আনার সক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখে। পাশাপাশি কিছু নতুন ও আধুনিক ইস্যু— যেগুলোতে এখনও সুসংহত মত বা দীর্ঘ গবেষণার অভাব রয়েছে— তাদের বিষয়ে চিন্তাশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।”
তিনি উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করেন, “কিছু বিষয়কে ‘যান-মুতলাক’ বা একমাত্র সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে দেখা হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে ‘মাকাসিদুশ শরিয়া’ নামে পরিচিত ধারণা ব্যবহার করে হানাফি ও সাধারণ সুন্নি ফিকহের ধারা অনুযায়ী ‘কিয়াস’, ‘ইস্তিহসান’, বা ‘সাদুজ জরাইয়ি’র মতো পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়— যা আহলে বাইতের শিক্ষায় নিরুৎসাহিত।”
পরীক্ষাহীন গবেষণা প্রকাশে সতর্কতা
তিনি বলেন,
“কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা বা ফতোয়া যথাযথ যাচাই-বাছাই ও বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ ছাড়াই প্রকাশ করা উচিত নয়। সেজন্য আমি আগেও প্রস্তাব দিয়েছি যে হাওজার ভেতরে ‘থিঙ্ক ট্যাংক’ বা চিন্তাচর্চার কক্ষ থাকা উচিত— যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণা ও মননচর্চা চলবে।”
সাক্ষাতের শুরুতে হুজ্জাতুল ইসলাম সাঈদি রোশন, হাওজা ও বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম ও অগ্রগতির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
আপনার কমেন্ট