বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫ - ০৯:১৬
গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন দেওয়া সকলের দায়িত্ব

ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের প্রতিনিধি হুজ্জতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন হোসেইন রেদায়ী গাজার চলমান সংকটের প্রসঙ্গে বলেন, “ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানো কেবল নৈতিক নয়, বরং মানবিক ও দীনী দায়িত্বও বটে। এই সমর্থন সর্বস্তরের মানুষের কর্তব্য।”

হাওজা নিউজ এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ঐতিহাসিক বাণী স্মরণ করিয়ে বলেন, “ইসলামী উম্মাহর মাধ্যমে দখলদার ও শিশুহত্যাকারী ইসরায়েল নিশ্চিহ্ন হবে—এই আদর্শ এখনও জীবন্ত। বরং যত বেশি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর চাপ, নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি আসছে, তত বেশি আমরা এই মানবিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছি।”

রেদায়ী বলেন, “ইসলামী বিপ্লব ফিলিস্তিনের মুক্তির আদর্শকে নিজের পরিচয়ের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে। ধর্মবিশ্বাসী ইরানি জনগণ সব পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে গত দুই বছরে, যখন দখলদার ইসরায়েল গাজায় প্রকাশ্য গণহত্যা চালিয়েছে এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার শাহাদত বরণ করেছেন, তখন এ সমর্থন আরও দৃঢ় হয়েছে।”

ইরান সর্বদা ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে
তিনি বলেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সব সময়ই বিশ্বের নির্যাতিতদের পক্ষে সোচ্চার থেকেছে এবং থাকবে। ফিলিস্তিনের মুক্তি ও পবিত্র কুদস বিজয় না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে। মুসলমানদের আত্মত্যাগ, বীরত্ব এবং ইসলামি দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের জাগরণ—এই সব কিছু মিলে ইনশাআল্লাহ এই লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।”

হুজ্জাতুল ইসলাম রেদায়ী ইসরায়েলি বাহিনীর প্রতিদিনের হত্যাযজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পশ্চিমা দখলদারপন্থী শক্তিগুলোর নীরবতা প্রসঙ্গে বলেন, “গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন কেবল সাধারণ মানুষের নয়, বরং দেশীয় প্রশাসনের—বিশেষ করে পররাষ্ট্রনীতির দায়িত্বশীলদের জন্য—আরও বড় দায়িত্ব।”

তিনি আরও বলেন, “ইমাম খোমেনী (রহ.) যখন ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন, তখনো ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর অর্থ, মজলুমের পাশে থাকা ইরানি জাতির ধর্মীয় ও জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিপ্লবের বিজয়ের পর এই সমর্থন পরিণত হয়েছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনায়।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha