হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগদাদের ইমাম জুমা এবং নাজাফে বিশিষ্ট অধ্যাপক, আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ ইয়াসিন মুসাভি তাঁর জুমার খুতবায় ইরানের পরমাণু আলোচনা এবং ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু বিষয়টি একটি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং এতে বিদেশি হস্তক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য; তবে ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক নিকটতার কারণে ইরাক এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, ইরানে স্থিতিশীলতা অথবা অস্থিতিশীলতা সরাসরি ইরাকের ওপর প্রভাব ফেলে।
আয়াতুল্লাহ মুসাভি আরও বলেন, আমেরিকা ইরাকের পরিস্থিতিকে ইরানের সাথে আলোচনার অগ্রগতির সাথে সংযুক্ত করে রেখেছে। তাঁর মতে, ওমানে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পর ইরাকের ওপর আমেরিকান চাপ কমে গেছে, যা তিনি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখেছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ইরান ও আমেরিকার মধ্যে কোনো সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিণতি ইরাকের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে, কারণ ইরান অঞ্চলের শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে, অথচ ইরাক প্রতিরক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল।
বাগদাদের ইমাম জুমা ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি আসন্ন নির্বাচনগুলোর প্রস্তুতিকে বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার শিকার বলে উল্লেখ করেন এবং সংসদে গভীর বিভেদ ও সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে হস্তক্ষেপকে সংকটের মূল কারণ বলে মনে করেন।
তিনি নির্বাচনে ভোট কেনাবেচা ও জনমত বিকৃতির তীব্র বিরোধিতা করেন এবং কিছু রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তোলেন।
আয়াতুল্লাহ মুসাভি সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের, যেমন জুলানিকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টাকে নৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, ইরাক এখনও সন্ত্রাসবাদের বিধ্বংসী প্রভাবের মধ্যে রয়েছে।
শেষে, তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নির্বাচনে সতর্কতা ও সচেতনতার পরিচয় দেয়, সত্ ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের নির্বাচন করে এবং দেশকে দুর্নীতি ও ক্ষমতার লোভের ছোবল থেকে মুক্ত করে।
আপনার কমেন্ট