হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ রূশাদ ব্যাখ্যা করেন, নামাজের শুরুতেই সূরা ফাতেহার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে আলাপন শুরু হয়, যা ধাপে ধাপে মুমিনের আত্মাকে নির্মল করে। আয়াতুল্লাহ রাশাদ সমাজ ও যুবসমাজের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তিনি নামাজের বিস্ময়কর রহস্য এবং বিশ্বাসীদের জীবনে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করেছেন।
তিনি সূরা আল-বাকারার ৪৫ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, “ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।” তাঁর মতে, নামাজ কেবল বিনয়ী ও সমর্পিত হৃদয়ের জন্যই সত্যিকারের প্রশান্তি ও মধুর অভিজ্ঞতায় রূপ নেয়।
আয়াতুল্লাহ রাশাদ আহলে বাইতের (আ.) নামাজপ্রেমের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন,
“আমিরুল মু'মিনীন আলী (আ.) নামাজে এতটাই নিমগ্ন থাকতেন যে তাঁর শরীর থেকে তীর বের করলেও তিনি তা অনুভব করতেন না।”
একইভাবে, তাসু'আ রাতে ইমাম হুসাইন (আ.) বলেন,
“নিশ্চয়ই, আমি নামাজকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি”
— যা আহলে বাইতের (আ.) নামাজের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও ঐশী দায়িত্বের প্রতিফলন।
পরিশেষে, আয়াতুল্লাহ রাশাদ নামাজকে “আধ্যাত্মিক বিকাশের সীমাহীন সমুদ্র” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “কুরআন ও হাদীসে নামাজের রহস্য কেবল পরিমাণগত নয়, বরং মানুষের আত্মার গভীরে বিস্ময়কর প্রভাব বিস্তার করে।”
আপনার কমেন্ট