হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের ধর্মীয় নগরী কোমে অনুষ্ঠিত হাওজায় ইলমিয়া কোমের পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং মরহুম আয়াতুল্লাহিল উজমা হাজ শায়খ আবদুল করীম হায়েরীর স্মরণানুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.) নাহজুল বালাগায় বলেছেন, “কুরআন একটি অতুলনীয় গ্রন্থ এবং এর প্রকৃত ব্যাখ্যাকারী হলেন আহলে বাইত (আ.)।”
তিনি আরও বলেন, “কুরআন হলো বুদ্ধিবৃত্তি ও জ্ঞানের গ্রন্থ। ইমাম রেজা (আ.) বলেছেন, “আল্লাহর প্রধান প্রমাণ মানুষের নিকট হলো বিবেক।’ তিনি ব্যাখ্যা করেন, “বিবেক থাকলে কুরআন ও আহলে বাইত (আ.) উভয়কেই উপলব্ধি ও সংরক্ষণ করা সম্ভব।”
মরহুম আয়াতুল্লাহ হায়েরীর অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, “তিনি এমন এক যুগে হাওজায় ইলমিয়া কোমকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন যখন চারদিকে অন্ধকার ও নিপীড়ন বিরাজ করছিল।” ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “সে সময় আমাদের দিনে কোম থেকে বের হয়ে রাতে ফিরতে হতো। এমন প্রতিকূল পরিবেশেই হাওজায় ইলমিয়া কোম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”
ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর শিক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইসলামী আদর্শ আমাদেরকে ’স্থবির পুকুরের মতো’ সীমাবদ্ধ চিন্তা করতে অনুমতি দেয় না। আমাদের অবশ্যই ‘প্রবাহমান ঝর্ণার মতো’ সক্রিয় থাকতে হবে।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, “একটি পুকুর শুধুমাত্র একটি বাগানের চাহিদা মেটাতে পারে, কিন্তু একটি প্রবাহমান ঝর্ণা সমগ্র অঞ্চলের তৃষ্ণা নিবারণ করতে সক্ষম।”
তিনি বলেন, “কুরআনের মূল বার্তা হলো - এটি সর্বদা নতুন জ্ঞান সরবরাহ করে। আমাদের অবশ্যই কুরআন থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং এর গভীরে প্রবেশ করতে হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “হাওজায় যদি যুক্তিবিদ্যা ও দার্শনিক বিজ্ঞানের চর্চা অব্যাহত থাকে তবে আমরা অবশ্যই মহান সাফল্য অর্জন করব।”
তিনি উপসংহারে বলেন, ”কুরআন ও আহলে বাইত (আ.) আমাদের জন্য সেই মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছেন যাতে আমরা পথভ্রষ্ট না হই। আমাদের কর্তব্য তাদের শিক্ষা থেকে জ্ঞান অর্জন করে সঠিক পথে অগ্রসর হওয়া।”
আপনার কমেন্ট