হাওযা নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ আ’রাফি, যিনি ইরানের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালক, তিনি আয়াতুল্লাহ আল উজমা হাজী শাইখ আবদুল করিম হায়রি ইয়াজদির (রহ.)-এর জীবন ও ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণমূলক এক বৈজ্ঞানিক বৈঠকে বলেন:
হাজী শাইখ বিশ্ব ও আঞ্চলিক তরঙ্গের মুখে হাওযার (ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান) জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করেছিলেন। যখন পুরো বিশ্ব পাশ্চাত্য সভ্যতার ঢেউয়ে আক্রান্ত ছিল, তখন তিনি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন এবং এই দৃষ্টিভঙ্গির ফলাফল ছিল ইসলামি বিপ্লব।
এই বৈজ্ঞানিক সভাটি আয়োজিত হয়েছিল হাওযায়ে এলমিয়া কুম-এর পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনের অংশ হিসেবে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আয়াতুল্লাহ দারি নাজাফ আবাদী (কেন্দ্রীয় প্রদেশে ফকীহের প্রতিনিধি), বিভিন্ন হাওযার শিক্ষকমণ্ডলী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি উপস্থিত সকল শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষকদের সম্মানে বলেন, তিনি হযরত আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁর প্রস্তুতকৃত বক্তব্য বাদ দিয়েছেন, যেন সম্মানিত অতিথিদের বাণী থেকে আমরা উপকৃত হতে পারি।
তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আয়াতুল্লাহ হায়রির জীবনী বিশ্লেষণে তিনটি মূল বিষয় উল্লেখ করেন:
১. পুনঃপুন হিজরত (স্থানান্তর):
হাজী শাইখ মেহরজার্দ ও মেইবোদ থেকে কুমে এসে স্থায়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত আটবার হিজরত করেছেন। কুরআনিক চিন্তাধারায় হিজরত একটি কৌশলগত বিষয়। তিনি ছিলেন মহৎ হিজরতের মানুষ।
২. গভীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি:
বিশ্ব ও আঞ্চলিক তরঙ্গের মুখে তিনি হাওযার জন্য সুচিন্তিত পরিকল্পনা করেন। পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভাবের সময় তিনি এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা সাংবিধানিক বিপ্লবের পথপ্রদর্শক বড় বড় আলেমদের থেকেও অগ্রসর ছিল। এই দৃষ্টিভঙ্গিই পরবর্তীতে ইসলামি বিপ্লবের জন্ম দেয়।
৩. সংগঠিত ব্যবস্থাপনা:
ব্যবস্থাপনার দুই ধরনের রূপ রয়েছে—একটি হলো প্রচলিত নিয়মভিত্তিক, অন্যটি হলো তাত্ত্বিক, জ্ঞানের গভীরতা ও প্রেক্ষাপট বোঝার ওপর ভিত্তি করে। হাজী শাইখের ব্যবস্থাপনা ছিল দ্বিতীয় রকমের, যা একটি বৃহৎ ব্যবস্থার সৃষ্টি করে।
আপনার কমেন্ট