হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ‘গালির জবাব দেয়া’ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, যা এখানে আগ্রহী পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হলো:
প্রশ্ন: কেউ কাউকে গালি দিলে সেও কি একই গালি দিয়ে জবাব দিতে পারবে? এতে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর:গালির জবাবে গালি দেওয়া (প্রতিশোধ হিসেবে) দুটি শর্ত সাপেক্ষে জায়েয:
প্রথম শর্ত: একই ধরনের গালি বা সমতুল্য গালি দিতে হবে, এর চেয়ে বেশি বা কঠিন গালি দেওয়া যাবে না।
দ্বিতীয় শর্ত: এতে অন্য কোনো হারাম কাজ সংঘটিত না হয় (যেমন মিথ্যা বলা, গীবত করা ইত্যাদি)।
[অর্থাৎ, ইসলামে গালির জবাবে গালি দেওয়া নিষিদ্ধ নয়, তবে তা সীমিত ও নিয়ন্ত্রিতভাবে হতে হবে, যাতে তা অন্য কোনো হারাম কাজে পরিণত না হয়।]
প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা:
জাফরি ফিকহে গালির জবাব দেয়ার বিষয়টি ‘প্রতিরোধমূলক আত্মরক্ষা’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে কয়েকটি মূলনীতি প্রণিধানযোগ্য:
১. প্রতিশোধের সীমাবদ্ধতা:
- ইমাম সাদিক (আ.)-এর একটি হাদিসে এসেছে “যদি কেউ তোমাকে গালি দেয়, তুমি তার সমতুল্য জবাব দিতে পার, কিন্তু সীমা অতিক্রম করো না!”
(ওয়াসায়েলুশ-শিয়া, খণ্ড- ১২)।
- এখানে “সমতুল্য” বলতে শব্দের মাত্রা ও প্রভাব বিবেচনায় নেওয়া হয়। উদাহরণ: কেউ কাউকে ইতর বললে- সে আত্মরক্ষার জন্য জবাবে বলতে পারে যে, আমি নই, তুমিই ইতর!
২. নৈতিক দায়িত্ব:
- জাফরি মাজহাবে ‘সবর তথা ধৈর্য’কে প্রাধান্য দেওয়া হলেও, মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রয়োজনবোধে জবাব দেয়াকে মাকরুহ নয় বরং জায়েয বলা হয়েছে (শারহে লুমআত, শাহিদ্ আউয়াল)।
৩. হারামের সীমারেখা:
- ইমাম আলী (আ.)-এর বাণী অনুযায়ী,
“গালির জবাবে মিথ্যা, গীবত বা অশ্লীলতা যোগ করলে তা হারামে পরিণত হয়!”
[নাহজুল বালাগা, খুতবা- ৩৪]
আপনার কমেন্ট