হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান মুসলিম স্কলারদের মধ্যে নিয়মিত সংলাপ বাড়ানোর মাধ্যমে ইসলামী দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা গড়ে তোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের সম্মেলন মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।”
তিনি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “ইরান ইসলামী দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে।”
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান আরও বলেন, “বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরাই মুসলিম বিশ্বের জরুরি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান দিতে পারেন। ওআইসি-১৫ এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তারা নিজ নিজ দেশ ও সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করতে পারেন।”
তিনি ইসলামী দেশগুলোর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, “১৮০ কোটি মুসলিম যদি একসাথে কাজ করে, তাহলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তারা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে। পবিত্র কুরআন, রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহ ও আমাদের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করেছে। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ইসলামী বিশ্বকে এগিয়ে নিতে পারি।«
সম্মেলনের প্রেক্ষাপট:
ওআইসি-১৫ ডায়ালগ প্ল্যাটফর্মের এ সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম দেশের মন্ত্রী, কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেজেশকিয়ান এ সম্মেলনে তার প্রথম বড় ধরনের আন্তর্জাতিক উপস্থিতি চিহ্নিত করেছেন, যা ইরানের বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্র: আইআরএনএ
আপনার কমেন্ট