হাওজা নিউজ এজেন্সি: শহীদ বেহেশ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনাসভায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হাওযার বহু শিক্ষকমণ্ডলী অংশগ্রহণ করেন। খসরুপানাহ তাঁর দীর্ঘ শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, “আমি এমন অনেক শিক্ষককে দেখেছি যারা অত্যন্ত জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রদের প্রতি দয়ার্দ্র, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং নৈতিক আচরণে সম্পন্ন ছিলেন। এই গুণাবলিই প্রকৃত শিক্ষকতার মূল ভিত্তি।”
তিনি আরও বলেন, “নৈতিকতা ও উপকারী জ্ঞানের মধ্যে একটি অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। যে ব্যক্তি সত্যিকারভাবে জ্ঞান অর্জন করে, সে আরও বিনয়ী হয়ে ওঠে। আর যে শিক্ষক বিনয়ী নন, তিনি এখনো জ্ঞানের মহত্ত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি।”
খসরুপানাহ বিশ্বখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ইবন সিনার জীবনী উল্লেখ করে বলেন, “ইবন সিনা এক প্রতিভাবান অথচ অমুসলিম কিশোরকে খুঁজে পেয়ে তাকে শিক্ষাদান করেন এবং পরবর্তীতে সে ইসলাম গ্রহণ করে তাঁর অন্যতম বিশিষ্ট ছাত্রে পরিণত হয়। এটি প্রমাণ করে যে, একজন প্রকৃত আলেম শুধু জ্ঞানের বাহকই নন, বরং তিনি একজন মানবগঠকও।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “শিক্ষকদের উচিত ছাত্রদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হওয়া। জ্ঞানী ব্যক্তি—হোক তিনি ইসলামী জগতের কিংবা সাধারণ— তাঁদের প্রতি সম্মান ও বিনয়ের সাথে কথা বলা উচিত। এই নম্রতাই ছাত্রদের জন্য একটি বাস্তব পাঠ।”
সর্বোচ্চ পরিষদের এই সচিব বলেন, “এমন পরিবেশে ক্লাস নেওয়া উচিত, যেখানে ছাত্ররা ‘আহলুল ইলম’-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বাস্তব ধারণা অর্জন করতে পারে। কারণ এটাই দেশের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্যতম প্রধান ভিত্তি।”
[শিক্ষণীয় বিষয়: নৈতিকতা ও বিনয় জ্ঞান অর্জনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রকৃত শিক্ষকতা শুধু পাঠদান নয়, বরং মানবিক গঠনও। শিক্ষকের আচরণ ছাত্রদের চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। জ্ঞানী ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা ও নম্রতা প্রকাশ একটি কার্যকর নৈতিক শিক্ষা।]
আপনার কমেন্ট