হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে মূসা, যিনি ইমাম জাওয়াদ ও ইমাম মুহাম্মাদ তাকি (আ.) নামে পরিচিত, তিনি শিয়াদের নবম ইমাম। তাঁর উপনাম ছিল আবু জাফর এবং উপাধি ছিল "জওয়াদ" ও "ইবনে রেজা"। তাঁকে "জওয়াদ" নামে অভিহিত করা হয় তাঁর অতুল দানশীলতা ও সদাচরণের কারণে।
এই মহামানবের শাহাদাত দিবস উপলক্ষে হুজ্জাতুল ইসলাম ও গবেষক আয়াতুল্লাহ আয়ুব আশতারির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর জন্ম ও জীবন সম্পর্কে বলুন।
তাঁর জন্ম সম্পর্কে প্রখ্যাত শিয়া আলেম মরহুম শেখ তূসী (রহ.) তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ-এ লিখেছেন:
«وَ ذَکَرَ أَنَّهُ کَانَ یَوْمُ الْعَاشِرِ مَوْلِدَ أَبِی جَعْفَرٍ الثَّانِی»
অর্থাৎ: রজব মাসের দশম দিন ছিল আবু জাফর সানী (ইমাম জওয়াদ)-এর জন্মদিন।
তবে অন্যান্য আলেম যেমন মরহুম শেখ মুফিদ ও কাফ'আমি ভিন্ন মত পোষণ করেন।
ইবনে শহর আশুব ও আল্লামা মজলিসী (রহ.) তাঁর ইমামতের সময়কাল সম্পর্কে বলেন: "তাঁর ইমামত ছিল ১৭ বছর। তিনি পিতার সঙ্গে ছিলেন ৭ বছর, ৪ মাস ও ২ দিন এবং এরপর ১৮ বছর থেকে ২০ দিন কম, অর্থাৎ ১৭ বছর ১১ মাস ১০ দিন ইমাম ছিলেন।"
সমসাময়িক খলিফাদের সম্পর্কে আল্লামা মজলিসী বলেন: "ইমামতের প্রথম দুই বছর ছিল মামুনের শাসনামলে, এরপর ছিল মু'তাসিমের শাসন এবং পরে ছিল ওয়াসিকের শাসন।"
প্রশ্ন: ইমাম জাওয়াদ (আ.)-কে অন্যান্য ইমামদের তুলনায় কম পরিচিত মনে করা হয় কেন?
এটি সম্ভবত এজন্য যে তাঁর জীবন ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মিডিয়া ও প্রচারে খুব কম আলোচনা হয়। আমরা কেবল নির্দিষ্ট দিবসে তাঁদের স্মরণ করি। এ দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি, যাতে আমরা এই অতুলনীয় জ্ঞানের মহাসমুদ্র থেকে উপকার নিতে পারি।
তবে আলহামদুলিল্লাহ, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের বরকতে তাঁর মর্যাদা ও ভূমিকা নিয়ে মূল্যবান গবেষণা হয়েছে। তবুও আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, আমরা এখনো এই মহান ইমামের যথাযথ মর্যাদা ও আসল পরিচয় থেকে অনেক দূরে আছি।
স্মরণে রাখতে হবে, আহলুল বায়েত (আ.) সবাই হিদায়তের দরজা ও মাহদী (পথপ্রদর্শক) এবং তাঁরা মিলিতভাবে ২৫০ বছরের এক পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানের জ্যোতির্মালারূপে আমাদের সামনে উপস্থিত।
আপনার কমেন্ট