হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ বিকেলে আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আরাফি, যিনি ইরানের সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কেরমানে আয়োজিত "অগ্রণী ও শীর্ষস্থানীয় হাওযা" শীর্ষক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কেরমান প্রদেশের ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাসে বিশেষ ভূমিকা এবং প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলকে তিনি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন। শহীদ হাজ কাসেম সোলাইমানি এবং অন্যান্য শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, কেরমান একটি বিস্তৃত প্রদেশ, যেখানে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মেধাবী, সক্রিয় মানবসম্পদ রয়েছে। এই প্রদেশ ইসলামী আন্দোলন ও বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এবং বরাবরই জাতীয় পর্যায়ের মহান ব্যক্তিত্বদের জন্ম দিয়েছে।
শুরা-ই নেগাহবান (রক্ষণশীল পরিষদের) একজন ফকীহ সদস্য হিসেবে তিনি কেরমানের ইসলাম, ইরান ও ইসলামী বিপ্লবের ইতিহাসে অনন্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, আমাদের গর্বিত শহীদ হাজ কাসেম সোলাইমানির পবিত্র রক্তের বরকতে কেরমান “প্রতিরোধের রাজধানী” উপাধি অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, কেরমান প্রদেশ নিজে যেমন উন্নয়ন ও উৎকর্ষের পথে অগ্রসর হচ্ছে, তেমনি পুরো দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে ইনশাআল্লাহ।
আয়াতুল্লাহ আরাফি সর্বোচ্চ নেতার বর্ণনার আলোকে কেরমানকে "দেশের বিশেষ প্রদেশ" হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রদেশ এবং এর গৌরবময় শহরগুলোর পরিচালনার প্রতি অন্যান্য অনেক অঞ্চলের তুলনায় বেশি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, গত চার বছরে এটি আমার ৭২তম বা ৭৩তম প্রাদেশিক সফর, যার উদ্দেশ্য ছিল সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন পর্যালোচনা। গত সফরে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যেগুলোর কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কিছু এখনও প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর শাহাদতের সময়কাল স্মরণ করে ইমাম রেজা (আ.)-এর ইরানে ঐতিহাসিক অবদানের কথা বলেন এবং বলেন, ইমাম রেজা (আ.)-এর খোরাসানে দুই বছরের উপস্থিতি ইমামত ও নেতৃত্বের ইতিহাসে এক অতুলনীয় অধ্যায়, যা আব্বাসি খলিফা মামুনের জটিল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল।
শূরা-ই খেবরেগান (নেতৃত্ব নির্বাচনী পরিষদ)-এর সদস্য হিসেবে তিনি কেরমান প্রদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বলেন, পূর্ববর্তী ও বর্তমান প্রশাসকের প্রচেষ্টায় কেরমানে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রশংসনীয়।
আপনার কমেন্ট