হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সৈয়দ আলী পুরহোসেইনি ইমাম মুহাম্মদ বাকের (আ.)-এর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং ১৪ই খোরদাদ (ইরানি বর্ষপঞ্জি অনুসারে), ইমাম খোমেনির (রহ.)-এর ওফাত দিবসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “যুব সমাজের মাঝে ইমাম খোমেনির জীবনাদর্শ ও সংগ্রামী পথচলা যথাযথভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। স্কুল, হাওযা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “১৫ই খোরদাদ, জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মরণ দিবস এবং সেইসঙ্গে এই দিনে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়িকে ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্বে নির্বাচন করা হয়েছিল। আজ যেসব উন্নয়ন ও সাফল্য আমরা দেখছি, তা হলো এই নেতৃত্ব এবং জনগণের ওপর তার আস্থার বাস্তব ফল।”
হুজ্জাতুল ইসলাম পুরহোসেইনি বলেন, “রাহাবারে ইনকিলাবের (মহান নেতার) দূরদর্শী নেতৃত্ব ও দেশের স্বনির্ভরতার উপর জোরদানের ফলেই আজ আমরা এক শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। একসময় যেখানে একটি কাঁটাতার ও গুলির জন্যও বিদেশের উপর নির্ভর করতে হতো, আজ সেখানে ইরান নিজেই বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি—বিশেষ করে ড্রোন—রপ্তানি করছে এবং বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ তা কিনতে চায়।”
তিনি আসন্ন ঈদে গাদিরে খুমকে কেন্দ্র করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “এই ঘটনাটি আমাদের আকিদা ও ইতিহাসের ভিত্তিমূল, যা কেবল উদযাপন নয়, বরং দীন রক্ষার একটি অনিবার্য কর্তব্য।”
শেষে তিনি জানান, তোকেহুর ও হেশতবান্দি অঞ্চলে ঈদে গাদির উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: সহজ ও সাদামাটা বিয়ের উৎসব, মুকেব (সেবা কেন্দ্র) ও সালাওয়াতি স্টেশনের স্থাপন এবং জনসাধারণের জন্য রাস্তার উৎসব অনুষ্ঠান।
গাদিরে খুম কেবল একটি স্মরণযোগ্য দিন নয়, বরং এটি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্ব, যার যথাযথ প্রচার ও অনুশীলনই হতে পারে ঐক্য, আদর্শ ও নেতৃত্বের পথরেখা।
আপনার কমেন্ট