বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ - ১০:৪৬
দোয়ার তিনটি সুনিশ্চিত কল্যাণ

দোয়া একজন মুমিনের আত্মিক শক্তি ও আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। এটি শুধু চাহিদা জানানোর মাধ্যম নয়, বরং বিশ্বাস, আস্থা ও ভরসার প্রকাশও বটে। একজন মুমিনের দোয়া কখনোই বৃথা যায় না—আল্লাহ তা বিভিন্ন উপায়ে কবুল করেন, কখনো দুনিয়াতে, কখনো আখিরাতে, আর কখনো কোনো অজানা বিপদ দূর করে দিয়ে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) বলেছেন,
المؤمنُ مِن دُعائهِ علی ثلاثٍ: إمّا أن یُدَّخَرَ لَهُ، و إمّا أن یُعَجَّلَ لَهُ، و إمّا أن یُدْفَعَ عَنهُ بَلاءٌ یُریدُ أن یُصِیبَهُ
একজন মুমিনের দোয়া তিন অবস্থার বাইরে নয়: হয় তা তার জন্য (আখিরাতে) সঞ্চিত রাখা হয়, নয়ত দুনিয়াতে কবুল হয়, অথবা এমন একটি বিপদ দূর করে দেওয়া হয় যা তার ওপর অবধারিতভাবে আসত।

[তুহাফুল উকুল, পৃষ্ঠা- ২৮০]

ব্যাখ্যা: ইমাম (আ.) এই হাদিসে দোয়ার তাৎপর্য ও প্রভাব সম্পর্কে গভীর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। একজন মুমিন যখন দোয়া করে, আল্লাহ তায়ালা তা কখনোই ব্যর্থ বা অনুত্তরিত রাখেন না। দোয়ার সুফল তিনভাবে আসতে পারে:

১. সঞ্চিত প্রতিদান: দোয়া কবুল না হলেও তা আখিরাতে মহা প্রতিদান হিসেবে রক্ষিত থাকে।

২. তাৎক্ষণিক কবুল: আল্লাহ চাইলে এই দুনিয়াতেই সেই দোয়ার উত্তর দেন।

৩. বিপদ প্রতিরোধ: অনেক সময় আল্লাহ সেই দোয়ার বদলে আসন্ন কোনো বিপদ দূর করে দেন।

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, একজন মুমিনের দোয়া কখনোই বৃথা যায় না। প্রতিটি দোয়ার পেছনে আছে আল্লাহর হিকমত ও রহমতের ছোঁয়া। তাই দোয়ায় স্থিরতা, আন্তরিকতা ও বিশ্বাস থাকা চাই।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha