শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ - ১১:৩৬
সর্বোচ্চ নেতার বার্তার প্রধান কর্মী হলেন স্বয়ং তালেবে ইলমগণ

হাওযায়ে ইলমিয়ার উচ্চ পরিষদের সম্পাদক বলেন: অনেক সময় তালেবে ইলমরা মনে করেন যে, হাওযার পরিচালক বা উচ্চ পরিষদকে অবশ্যই হাওযার চার্টার ও সর্বোচ্চ নেতার বার্তার ভিত্তিতে কোনো কার্যক্রম নিতে হবে। কিন্তু প্রকৃত দায়িত্ব ও কর্মের ভার মূলত ছাত্রদেরই।

হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ মাহদী শবযিন্দে-দার “প্রাদেশিক হাওযা পরিচালক ও উপপরিচালক সম্মেলন” (স্থান: জামেআতুল মুস্তফা, কোম) -এ বলেন: উচ্চতর আত্মিক অনুগ্রহ এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য ‘মীকাত’-এর (আধ্যাত্মিক মিলনস্থল) প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন: কুরআনে আমরা দেখি, একজন মহান ব্যক্তি যেমন হযরত মূসা (আ.) আল্লাহর উচ্চস্তরের শিক্ষা গ্রহণের জন্য তাঁর বিশেষ মনোযোগের প্রয়োজন অনুভব করেন। যখন তিনি মীকাতে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি দায়িত্বপূর্ণভাবে দুটি বিষয় তাঁর ভাইকে বলে যান।

তিনি বলেন: প্রাদেশিক পরিচালকদের উচিত এই দুটি বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে মনোযোগ দেওয়া, কারণ উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের জন্য আত্মার এক বিশেষ পরিশুদ্ধতা দরকার।

তিনি বলেন: আত্মা পরিশুদ্ধ করা এবং সাফল্যের জন্য একজন মানুষের মীকাতে যাওয়া প্রয়োজন। রাতে বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমনটি রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে—মানুষের আধ্যাত্মিক যাত্রার জন্য রাত্রি হলো সবচেয়ে উত্তম বাহন।

আয়াতুল্লাহ শবযিন্দে-দার বলেন: হযরত মূসা (আ.) ৪০ রাত আল্লাহর সঙ্গে নির্জনে অতিবাহিত করেন। যদি আমরা আল্লাহর জ্ঞান ও হেদায়েত থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে চাই, তাহলে দুটি মূল উপাদান দরকার:
১. এমন এক হৃদয়, যাতে আল্লাহভীতি থাকে
২. এমন এক সংকল্পবদ্ধ মন, যে শতভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই দুটি বিষয় তালেবে ইলমদের জন্য অপরিহার্য, যদি তারা উচ্চস্তরের উপকার লাভ করতে চায়।

তিনি বলেন: আত্মশুদ্ধির জন্য ৪০ দিনের মীকাত দরকার। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি ক্রোধপ্রবণ হয়, তাহলে তাকে ৪০ দিনের চিন্তা ও চর্চার মাধ্যমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন: আত্মশুদ্ধি বিশেষ করে শিক্ষক ও পরিচালকগণের জন্য অপরিহার্য, যারা তালেবে ইলমদের গঠন করবেন। রেওয়ায়াতেও বলা হয়েছে, আত্মগঠন ছাড়া অন্যকে গঠন করা সম্ভব নয়।

আয়াতুল্লাহ শবযিন্দে-দার বলেন: একজন শিক্ষক, পরিচালক বা পিতা অসাধারণ প্রভাব রাখতে পারেন। সদাচরণ একজন তালেবে ইলমকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারে, যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়।

তিনি বলেন: হাওযায়ে ইলমিয়ার পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে সর্বোচ্চ নেতার বার্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস ও দিকনির্দেশনা, যার বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে হাওযার উন্নয়ন সম্ভব।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha