শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ - ১৯:০৪
ইরানকে দেয়া সৌদি বাদশাহ সালমানের গোপন বার্তার বিষয়বস্তু ফাঁস

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ইরান সরকারের উদ্দেশে এক গোপন বার্তা পাঠিয়েছেন, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল — যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব দ্রুত গ্রহণ করা, যাতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সামরিক সংঘাত এড়ানো যায়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: এই বার্তাটি গত মাসে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বাদশাহর পুত্র প্রিন্স খালেদ বিন সালমান ইরানের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি ১৭ এপ্রিল এক অঘোষিত সফরে তেহরানে আসেন এবং সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন বৈঠকে মিলিত হন।

বার্তার মূল কথা: ‘সময় খুব সীমিত’
চারটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, খালেদ বিন সালমান ইরানি নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর বেশিদিন অপেক্ষা করবেন না। তিনি দ্রুত একটি কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী এবং এই ‘ডিপ্লোমেটিক উইন্ডো’ অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে, এবং এর সুযোগে ইসরায়েল সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে, যা পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।

বিকল্প: ‘চুক্তি না হলে যুদ্ধ’
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (GCC) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদ বিন সালমান ইরানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করাই বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ একবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে পারে।”

তিনি আরও যোগ করেন, লেবানন ও গাজার সাম্প্রতিক সহিংসতার পর মধ্যপ্রাচ্য নতুন আরেকটি সামরিক সংঘাত সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।

গোপন বার্তা, প্রকাশিত সতর্কতা
যদিও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচিত হয়েছে, তবে সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও আলোচনার বিষয়বস্তু এতদিন গোপন ছিল। এখন এই তথ্য ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল।

সূত্র: মেহর নিউজ | আল-আখবার

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha