হাওজা নিউজ এজেন্সি: শেখ মোহাম্মদ আল-জাবি বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) এমন একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন যিনি উপনিবেশবাদী শক্তির ধূর্ত কৌশল, মুসলিম দেশগুলোর দুর্বলতা এবং ইসলামি উম্মাহর প্রকৃত শক্তির অভাব সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি রাখতেন।
আল-জাবি বলেন, “তিনি কেবল চিন্তাবিদ বা ধর্মীয় নেতা ছিলেন না, বরং একজন বিপ্লবী সংগঠক, যিনি মুসলমানদের জাগিয়ে তুলতে এবং ঐক্যবদ্ধ করে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বময় প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হন!”
তিনি উল্লেখ করেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) সবসময় বলতেন: “হে বিশ্বের মুসলমানরা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে জেগে ওঠো, ঐক্যবদ্ধ হও এবং ইসলাম ও সম্পদ রক্ষা করো।”
শেখ আল-জাবি জানান, ইমামের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনি ইস্যু ছিল শুধু একটি রাজনৈতিক বিষয় নয়; বরং এটি ছিল একটি ঈমানি দায়িত্ব, যা মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও নিপীড়িতদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। ১৯৭৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেওয়া এক ভাষণে ইমাম বলেছিলেন: “ফিলিস্তিনকে রক্ষা করা আমাদের ঈমানি কর্তব্য।”
তিনি আরও বলেন, ইমামের আহ্বানেই লেবাননে প্রতিরোধ আন্দোলন সংগঠিত হয় এবং মুসলিম বিশ্বের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়। তাঁর নির্দেশনায় মুসলমানদের ঐক্য জোরদার করতে রমজানের শেষ শুক্রবারকে “আন্তর্জাতিক কুদস দিবস” হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। হজ মৌসুমেও তিনি ফিলিস্তিনি ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুসলিম ঐক্যের ডাক দিতেন।
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে আল-জাবি বলেন, প্রায় পাঁচ দশক ধরে চাপের মুখেও ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আত্মনির্ভরশীলতা ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে। ইরান আজ এমন একটি রাজনৈতিক ও নৈতিক মডেল উপস্থাপন করেছে যা বিশ্বের জন্য অনন্য উদাহরণ।
সংক্ষিপ্তভাবে, শেখ মোহাম্মদ আল-জাবি ইমাম খোমেনী (রহ.)-কে এমন একজন মহান নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন, যিনি ইসলামি ঐক্য, প্রতিরোধ এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধকে বিশ্ব মুসলিমের সামনে বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
উৎস: পার্সটুডে | মেহর নিউজ এজেন্সি
আপনার কমেন্ট