শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫ - ১১:৪৫
হযরত আব্বাস (আ.)-এর মর্যাদা: শহীদদের আকাঙ্ক্ষার উৎস

ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বিশ্বস্ত সহচর ও কারবালার বীর, হযরত আবুল ফজলিল আব্বাস (আ.) কেবল এক সাহসী যোদ্ধাই ছিলেন না, বরং ইমান, ফিদাকারি ও আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কারবালার ময়দানে তাঁর আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠা এমন এক উচ্চতর মর্যাদায় পৌঁছায়, যার স্বীকৃতি পাওয়া যায় স্বয়ং ইমামদের বাণীতে। ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) তাঁর এক গভীর মূল্যবান হাদীসে হযরত আব্বাস (আ.)-এর মর্যাদার যে বিবরণ দিয়েছেন, তা আমাদের জন্য চিন্তা, শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার এক অনন্য শিক্ষা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি:  ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.) বলেন,
إِنَّ لِعَبَّاسَ (عَلَیْهِ السَّلَامُ) مَنزِلَةً عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَکَ وَ تَعَالَی، فِی یَوْمِ الْقِیَامَةِ یَغْبِطُهَا جَمِیعُ الشُّهَدَاءِ

“নিশ্চয়ই হযরত আব্বাস (আলাইহিস্ সালাম)-এর আল্লাহ তাআলার কাছে এমন এক মর্যাদা রয়েছে, যা দেখে কিয়ামতের দিনে সকল শহীদ তাঁর প্রতি ঈর্ষা (তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা) করবে।”
[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৪৪, পৃষ্ঠা ৩৭০]

শেষ কথা: এই হাদীসটি কেবল হযরত আব্বাস (আ.)-এর ব্যক্তিগত গৌরবের বর্ণনা নয়, বরং এটি আমাদের দেখায় যে কীভাবে একজন ব্যক্তি নিজের সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, ত্যাগ ও আনুগত্যের মাধ্যমে এমন এক স্থানে পৌঁছাতে পারেন, যেখানে এমনকি শহীদরাও তাঁর মর্যাদা দেখে ঈর্ষা করেন। এটি আমাদের জন্য এক শক্তিশালী বার্তা—যে ঈমান ও আদর্শের পথে অবিচল থাকলে, আল্লাহর দরবারে এক অসাধারণ সম্মান লাভ করা সম্ভব। হযরত আব্বাস (আ.) আমাদের জন্য সেই ত্যাগ ও আস্থার আলোকবর্তিকা, যাঁর পদাঙ্ক অনুসরণে নিহিত রয়েছে চিরন্তন সফলতা।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha