হাওজা নিউজ এজেন্সি: বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, “সায়োনিস্ট দখলদারদের এই আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিকতার ঘোরতর লঙ্ঘন। এটি ফিলিস্তিন, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরানের ওপর ধারাবাহিক হামলারই ধারাবাহিকতা।”
হিজবুল্লাহর ভাষ্য, “এই কাপুরুষোচিত হামলা মূলত দখলদার শত্রুর সেই পুরোনো পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে তারা অঞ্চলজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় এবং একক জাতির মধ্যে বিভেদ লাগিয়ে নিজেদের ‘নিরাপত্তার গ্যারান্টার’ হিসেবে তুলে ধরতে চায়—যদিও বাস্তবে তারাই সবচেয়ে বড় হুমকি।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইসরায়েল নামক অবৈধ সত্তা কোনো চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি মানে না। তারা কেবল শক্তির ভাষা বোঝে এবং জাতিগুলোকে তাদের উপনিবেশবাদী স্বার্থে ব্যবহারের উপাদান মনে করে।”
হিজবুল্লাহ আশা প্রকাশ করে, “সিরিয়ার সাহসী জনগণ—তাদের সব ধর্মীয় ও জাতিগত উপাদানসহ—ঐক্যবদ্ধভাবে এই বর্বর আগ্রাসনের মোকাবিলা করবে এবং প্রমাণ করবে যে তারা কখনো দখলদারিত্ব মেনে নেবে না।”
সংগঠনটি শেষাংশে আরব ও ইসলামী বিশ্বের জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, “এই অবৈধ সত্তাটি সুযোগ পেলেই পুরো অঞ্চলকে গ্রাস করার চেষ্টা করবে। তাই এর বিরুদ্ধে পরিষ্কার ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়াই আমাদের মর্যাদা, স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার একমাত্র পথ।”
আপনার কমেন্ট