মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫ - ১৫:১০

ইরাকের নাজাফে আশরাফে অধ্যয়নরত হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আবেদীন হোসাইন।

বিশেষ বিবৃতি:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আরবাঈন কেবল একটি দিন নয়—এটি একটি আন্দোলন, এক আধ্যাত্মিক জাগরণ। ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের ৪০তম দিন হিসেবে পালিত এই দিবস শোক ও স্মৃতির পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি, আত্মদীক্ষা ও চরিত্র গঠনের এক মহৎ সুযোগ।

আরবাঈন আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার একটি মহান মাধ্যম। যখন আমরা কারবালার পথে পায়ে হেঁটে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যিয়ারতে অংশগ্রহণ করি, তখন আমরা কেবল শরীরকে ক্লান্ত করি না—আমরা আত্মাকে জাগিয়ে তুলি, অহংকারকে ভেঙে ফেলি, এবং এক অনন্য আত্মিক সংযোগ অনুভব করি আহলে বাইতের (আ.) সঙ্গে।

ইমাম হুসাইন (আ.)-এর আত্মত্যাগের স্মরণ কেবল ইতিহাস নয়, বরং তা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের পথনির্দেশক। তাঁর চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর, সত্যের পক্ষে কথা বলার এবং ত্যাগের মাধ্যমে আত্মমর্যাদা রক্ষার শিক্ষা দেয়।

আরবাঈনের এই সফর—যা লাখ লাখ মানুষের একসাথে আল্লাহর দিকে ধাবিত হওয়ার দৃশ্যপট—মানবতার এক অপূর্ব প্রতিচ্ছবি। এই যাত্রা একজন মুমিনকে অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখায়, ধৈর্যশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে এবং সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রেরণা জোগায়।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আরবাঈনের চেতনা শুধু ব্যক্তিগত আত্মগঠনের জন্য নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হতে পারে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সত্যের পথে অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন এবং আরবাঈনের আধ্যাত্মিক প্রভাবকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের শক্তি দিন।
والسلام علیکم ورحمة الله وبرکاته

হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আবেদীন হোসাইন নাজাফী

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha