হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আবুতালীব আলি গাজী, গোলাটি জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও পশ্চিমবঙ্গ জাফারি মাদ্রাসার ইনচার্জ।
বিশেষ বিবৃতি:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আরবাঈন কেবল শোক ও স্মৃতিচারণের একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এটি ইসলামী সভ্যতার জাগরণ, নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় প্রতীক।
ইসলামের ইতিহাসে কারবালার ঘটনা যেমন চিরস্থায়ী প্রেরণা, তেমনি আরবাঈন হলো সেই বিপ্লবী চেতনার ধারক যা যুগে যুগে নিপীড়নের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সচেতন করেছে।
আরবাঈনের স্মরণে কোটি কোটি মুসলমান যেভাবে প্রতিবছর নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন, তা বিশ্ববাসীর সামনে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ, আত্মত্যাগ এবং ন্যায়পরায়ণতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি শুধু আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একটি কার্যকর সামাজিক ও নৈতিক আন্দোলনের ভিত্তি।
কারবালার শহীদদের আদর্শ ও শিক্ষা—বিশেষত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর আত্মোৎসর্গ—ইসলামী সভ্যতার মূল্যবোধ যেমন ন্যায়বিচার, মানবিকতা, এবং আত্মিক বিশুদ্ধতার মূল ভিত্তি গড়ে তুলেছে। আরবাঈন সেই চেতনাকে যুগ থেকে যুগান্তরে বহন করে চলেছে।
আজকের প্রজন্মের কর্তব্য হলো এই আদর্শকে আত্মস্থ করে সামাজিক উন্নয়ন, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং একটি মানবিক ও আলোকিত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসা।
والسلام علیکم ورحمة الله وبرکاته
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আবুতালীব আলি গাজী
আপনার কমেন্ট