ইরাকের নাজাফে আশরাফে অধ্যয়নরত হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আব্বাস আলী
বিশেষ বিবৃতি:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আশুরার ৪০তম দিন—‘আরবাঈন’—শিয়া ইসলামি দর্শনে একটি অনন্য ও গভীর তাৎপর্যবাহী দিবস। এটি শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় দিন নয়, বরং এক বিশাল আধ্যাত্মিক আন্দোলন এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চেতনার পুনর্জাগরণের প্রতীক।
ইমাম হুসাইন (আ.) কারবালার প্রান্তরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তা ইতিহাসে চিরভাস্মর। আরবাঈনের যিয়ারত সেই শাহাদাতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, আনুগত্য এবং আদর্শ অনুসরণের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
শিয়া আকীদা অনুযায়ী, ইমাম হাসান আসকারী (আ.) একটি হাদীসে ইমাম হুসাইনের যিয়ারতকে মু’মিনের পাঁচটি চিহ্নের অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সে হিসেবে আরবাঈনের যিয়ারত কেবল আবেগ বা সংস্কৃতি নয়, বরং এটি একটি আকীদাগত ইবাদত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম।
কারবালার পথে লক্ষ লক্ষ মুসলমান পায়ে হেঁটে যিয়ারতের যে ঐতিহাসিক ধারা গড়ে তুলেছেন, তা বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। এই যাত্রা আমাদের শিক্ষা দেয় আত্মত্যাগ, ধৈর্য, সংহতি এবং মানবিকতা—যা ইমাম হুসাইনের আদর্শের মূল ভিত্তি।
আমরা বিশ্বাস করি, আজকের অস্থির বিশ্বে ইমাম হুসাইনের আদর্শ এবং আরবাঈনের চেতনা সমাজে ন্যায় ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইমাম হুসাইনের আদর্শে জীবন পরিচালনার তৌফিক দান করুন।
والسلام علیکم ورحمة الله وبرکاته
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আব্বাস আলী
আপনার কমেন্ট