হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার এক সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “ইরান ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা একটি সুস্পষ্ট বিষয়ে: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পারমাণবিক কর্মসূচি। অথচ কিছু পশ্চিমা দেশ অপ্রাসঙ্গিক বিষয় উপস্থাপন করে আলোচনাকে বিভ্রান্তিকর করে তুলছে।”
তিনি আরও জানান, ইস্তাম্বুলে ইউরোপীয় তিন দেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব এবং নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। “আমরা ইউরোপীয় পক্ষগুলোকে জানিয়েছি, তাদের ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থার কোনো বৈধতা নেই। যদি তারা এ ব্যবস্থার আশ্রয় নেয়, তবে ইরানও উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে।”
বাকাই কিয়ানি বলেন “আমরা এনপিটির সদস্য থাকব, শর্ত হল—এই চুক্তির আওতায় আমাদের আইনসম্মত অধিকার, বিশেষ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার, যদি বাস্তবায়িত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কোনো পরিকল্পনা নেই।”
তিনি দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের প্রসঙ্গে বলেন, “ভৌগোলিক সীমা পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ ইরান মেনে নেবে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।”
তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে স্থায়ী শান্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচুক্তি না হলে অঞ্চলজুড়ে অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে। দুই দেশকেই এ বিষয়ে আন্তরিক পদক্ষেপ নিতে হবে।”
আপনার কমেন্ট