হাওজা নিউজ এজেন্সি: আহলে বাইতের (আ.) মহীয়সী নারী হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর পবিত্র মাজার শরীফে অনুষ্ঠিত ইমাম মাহদী (আ.ফা.)’র সৈনিকদের পুনঃপ্রতিজ্ঞা অনুষ্ঠানে বুশেহরি বলেন, “হযরত বাকিয়াতাল্লাহ (আ.ফা.)-এর সৈনিকরা প্রতিজ্ঞা নবায়ন অনুষ্ঠানে গৌরবময় উপস্থিতি প্রকাশ করেছেন।”
তিনি উল্লেখ করেন, হযরত হুজ্জাত (আ.ফা.) গায়েব অবস্থায় আছেন, এবং এই সময়ে আমাদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সৈনিক হওয়ার দাবিদার ব্যক্তিকে প্রথমে তকওয়া অর্জন করতে হবে এবং আল্লাহর সীমারক্ষা পালন করতে হবে।
অবিচল এবং দৃঢ় থাকার গুরুত্ব
আয়াতুল্লাহ বুশেহরি বলেন, অপেক্ষাকারী ব্যক্তি কখনও দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারেন না; তাকে অবিচল এবং দৃঢ় থেকে পথেই অটল থাকতে হবে। হাদিসে এসেছে, শেষ সময়ে এমন পরিস্থিতি আসবে যেখানে কিছু মানুষ পথভ্রষ্ট হতে পারে। তাই ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) সৈনিকদের অবশ্যই অবিচল থাকা উচিত।
প্রতিজ্ঞা নবায়ন ও দৈনন্দিন দোয়া
আজকের প্রতিজ্ঞা নবায়ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) প্রতি জানাচ্ছেন, “আমরা আপনার আজ্ঞাকর্তা।”
বুশেহরি আরও বলেন, যারা প্রতিদিন প্রভাতকালের প্রার্থনা “দোয়া-ই আহাদ” পাঠ করেন, তাদের প্রতি ইমাম মাহদী (আ.ফা.) বিশেষ নজর রাখবেন। হাদিস অনুযায়ী, যিনি ৪০ দিন ধারাবাহিকভাবে দোয়া-ই আহাদ পাঠ করবেন, তিনি ইমামের বিশ্বস্ত অনুসারী হবেন।
ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা
আয়াতুল্লাহ বুশেহরি আরও বলেন, আমাদের আরেকটি দায়িত্ব হলো ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা। জীবন, সম্পদ, সন্তান ও পরিবার উৎসর্গ করে যেন আমরা “মদিনায়ে ফাজিলা” (সুপ্রশাসিত, আদর্শ সমাজ) গড়ে তুলি এবং ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) শাসন প্রত্যক্ষ করি।
আল্লাহভীতি ও অন্তর্দৃষ্টি
তিনি উল্লেখ করেন, যারা ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) সঙ্গে প্রতিজ্ঞা করেন, তারা আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং অন্যের তিরস্কার বা সমালোচনার প্রতি মনোযোগ দেন না।
আয়াতুল্লাহ বুশেহরি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা সবাই ইমাম মাহদীর (আ.ফা.) মুখ দর্শনের আশা করি, তবে এজন্য আমাদের হৃদয় ও মন সর্বদা ইমামের পথে স্থির থাকতে হবে।”
আপনার কমেন্ট