হাওজা নিউজ এজেন্সি: আজ আহওয়াজের ইমাম খোমেনি (রহ.) মসজিদে জুমার খুতবায় তিনি মুসল্লিদের তাকওয়া অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সমস্যা ও অচলাবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো আল্লাহভীতি।”
জুমা'র ইমাম ইমাম মাহদী (আ.)-এর ইমামত, নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং ইমাম সাদিক (আ.)-এর জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সপ্তাহ-এ-ওহদাত (একতা সপ্তাহ) মুসলিম উম্মাহর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ, যা নবুয়তের বার্তা ও ঐক্যের শিক্ষা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, কুরআন শরীফে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে ‘সমস্ত বিশ্বের জন্য রহমত’ এবং ‘সর্বোত্তম আদর্শ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক আয়াত যেন আজকের ঘটনাবলির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
হুজ্জাতুল ইসলাম আখওয়ান আজকের মানবিক সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় আজ মানবজাতির দুরবস্থা ভয়াবহ। ফিরাউনরা সবসময় ছিল, তবে আজ তারা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবজাতিকে দমন করছে।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে যুগের ফিরাউন আখ্যা দিয়ে বলেন, “তারা ধর্ম ও মানবতার বিরুদ্ধে পুরো শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন, মুসলিমদের উচিত এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী বিপ্লব দেখিয়ে দিয়েছে—আল্লাহর ওপর আস্থা রাখলে এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থাকলে বিজয় অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, “মুসলমানরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তবে তারা এমন এক অজেয় ঢাল তৈরি করতে পারবে, যার সামনে কোনো শত্রু দাঁড়াতে পারবে না। এ কারণেই শত্রুরা বিপুল অর্থ ব্যয় করে মুসলিম ঐক্যকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে।”
১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের বিজয়ের মূল চাবিকাঠি ছিল আল্লাহর প্রতি ঈমান, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির নেতৃত্ব, প্রতিরক্ষা শক্তির সঠিক ব্যবহার ও জনগণের ঐক্য।”
সায়োনিস্টদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, সিরিয়া, ইরাক ও লেবাননে পরিচালিত হামলাগুলো মূলত ইরানকে লক্ষ্য করেই করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “ইসরাইল আজ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক সংকটে জর্জরিত। যদি তারা আবারো বোকামি করে, ইরান আল্লাহর ওপর আস্থা ও সামরিক শক্তির মাধ্যমে তাদের কঠোরভাবে পরাজিত করবে।”
ইউরোপের হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানকে স্ন্যাপব্যাক মেকানিজমের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তারা আলোচনার ভাষা বোঝে না এবং যুক্তির পথে চলে না।”
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিশু হত্যাযজ্ঞ ইসরাইলি শাসনের পতনের ইঙ্গিত। ইতিহাসে এ ধরনের নৃশংসতার নজির নেই। কিন্তু সাহসী ফিলিস্তিনি জনগণ এই অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।”
আপনার কমেন্ট