বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৯:২২
ইসরায়েলি হামলার জবাব আসন্ন: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

কাতারের প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” আখ্যা দিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, খুব শিগগিরই এর জবাব অঞ্চল থেকে আসবে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি আল–জাজিরার বরাতে জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল–সানি সিএনএন–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি হওয়ার যোগ্য।”

তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ প্রসঙ্গে তাঁর দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি স্পষ্ট ও শক্ত বার্তা পেয়েছে। এ জন্য ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই অবস্থানকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করতে হবে।”

আল–সানি সমালোচনা করে বলেন, নেতানিয়াহু কখনোই আলোচনায় আন্তরিক ছিলেন না, বরং কেবল সময়ক্ষেপণ করেছেন। তিনি পুনরায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” উল্লেখ করেন এবং সতর্ক করে বলেন:
“অঞ্চল থেকে অবশ্যই এর একটি জবাব আসবে।”

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে কাতার বর্তমানে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করছে এবং আশা প্রকাশ করেন যে, “অঞ্চলীয় দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া বাস্তবসম্মত ও কার্যকর হবে, যাতে ইসরায়েলের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়।”

কাতারের প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে বলেন,
“আমরা নেতানিয়াহুর হুমকি কোনোভাবেই মেনে নেব না। তিনি আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছেন এবং গাজাবাসীকে অনাহারে ঠেলে দিচ্ছেন। অথচ নিজেই আইন লঙ্ঘন করেও অন্যদের আইনের পাঠ শেখাতে চান।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দোহায় হামাস নেতাদের আবাসস্থলকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে শান্তি–প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক চলছিল। এ হামলায় হামাসের কয়েকজন সদস্য ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হলেও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিরাপদ থাকেন।

কাতারের রাজধানীতে এই বিমান হামলার পর থেকে আঞ্চলিক দেশসমূহ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রতিক্রিয়াগুলোতে কাতারের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের এ আগ্রাসনকে একটি দেশের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট অবমাননা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এই বিস্তৃত প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলের একতরফা সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি শক্তিশালী ঐকমত্য গড়ে উঠছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালার প্রকাশ্য অমান্য।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha