সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ২২:০০
আয়াতুল্লাহ বাহজাত ও হযরত মাসুমার জিয়ারতের কাহিনী

 হযরত মাসুমা (সা.)-এর জিয়ারতস্থলে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আলোচনায় এসেছে, যা প্রকৃত ঈমান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,  হযরত মাসুমা (সা.)-এর জিয়ারতস্থলে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আলোচনায় এসেছে, যা প্রকৃত ঈমান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

হযরত মাসুমার সম্মানিত খাদেমদের একজন দীর্ঘদিনের সেবক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান, বহু বছর আগে—প্রায় বিশ থেকে ত্রিশ বছর পূর্বে—একজন বৃদ্ধ আলেম নীরবে জিয়ারতের জন্য আসেন। সরল ও সাধারণ সেই আলেমকে প্রথম দর্শনে বিশেষ কেউ মনে হয়নি।

খাদেমের ভাষ্যমতে, সেই সময় বৃষ্টির কারণে জিয়ারতস্থলের গলি ও আঙিনা কাদা-মাটিতে ভরে গিয়েছিল। যাত্রীরা তাঁদের জুতো খুলে রাখতেন এবং তাকের ওপর রাখা জুতোগুলো থেকে কাদা ও মাটি ঝরে পড়ত। বৃদ্ধ আলেমও নিয়মমতো জুতো খুলে জিয়ারত করলেন এবং ফেরার সময় তা পরে নিলেন।

কিন্তু এরপরই ঘটল এক আশ্চর্য দৃশ্য। তাকের ওপর জমে থাকা সেই কাদা ও মাটি তিনি দুই হাত দিয়ে তুলে নিলেন এবং তা নিজের মাথা ও মুখে মেখে নিলেন। উপস্থিত খাদেম বিস্ময়ে দেখলেন, তিনি সেই মাটিকেই বরকত হিসেবে গ্রহণ করছেন।

কিছুদিন পর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেই সরল আলেম আর কেউ নন, বরং প্রখ্যাত ইসলামী দার্শনিক ও আরিফ আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.)।

ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা প্রকৃত ঈমান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের গভীর উদাহরণ। আয়াতুল্লাহ বাহজাত জানতেন, হযরত মাসুমা (সা.)-এর দরবারে আগত প্রতিটি যাত্রী বিশেষ মর্যাদা রাখে, আর সেই যাত্রীর জুতোর কাদা পর্যন্ত বরকতপূর্ণ হতে পারে।

এই কাহিনী প্রমাণ করে-যেখানে সাধারণ চোখ শুধু কাদা দেখে, সেখানে একজন আরিফ ঈমানের আলোয় বরকতের নিদর্শন খুঁজে পান।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha