হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়েদ আলী রেজা তারাশিয়ুন বলেন, কিশোররা নিজেদের পরিচয় খুঁজে বেড়ায়। পরিচয়ের এই অনুসন্ধান নানাভাবে প্রকাশ পায়—অর্থনৈতিক পরিচয়, সামাজিক পরিচয়, ধর্মীয় বা শিক্ষাগত পরিচয়। এই অনুসন্ধানের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রবণতা। তারা অনেক সময় নতুন কাজে যোগ দেয় শুধু বোঝার জন্য যে এটি তাদের উপযুক্ত কি না। যদি উপযুক্ত না মনে হয়, তারা তা ছেড়ে দেয়।
এ নিয়ে অভিভাবকদের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কিশোরদের জীবনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া একেবারেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
উদাহরণ ও বাস্তবতা
বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, অনেক কিশোর একের পর এক পাঁচটি খেলা বা কার্যক্রম শুরু করে মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু ষষ্ঠ কার্যক্রমেই তারা মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছে এবং এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করেছে। অর্থাৎ এই বারবার চেষ্টা ও ব্যর্থতাই তাদের সঠিক জায়গা খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।
অভিভাবকদের ভূমিকা
অনেক সময় দেখা যায়, অভিভাবকরা নিজেরাই কিশোরদের নিরুৎসাহিত করেন। নেতিবাচক মন্তব্য—যেমন “তুমি পারবে না”, “এত বড় স্বপ্ন দেখো না”—তাদের মনোবল দুর্বল করে দেয়। ফলে তারা অল্পতেই হাল ছেড়ে দেয়।
অভিভাবকদের কাজ হলো কিশোরদের জন্য ইতিবাচক ও আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা তৈরি করা। যদি তারা শতভাগ লক্ষ্য পূরণে এগোতে চায় কিন্তু ৭০ শতাংশ গিয়ে থেমে যায়, তবু তাদের উৎসাহিত করতে হবে। অন্যথায় তারা ১০-১৫ শতাংশ অগ্রগতিতেই হাল ছেড়ে দেবে।
করণীয়
•কিশোরদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দিন
•নেতিবাচক মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন
•তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন, ফলাফলের নয়
•ব্যর্থতাকে শিক্ষার অংশ হিসেবে দেখাতে সহায়তা করুন
•অভিজ্ঞতাকে আনন্দদায়ক করার চেষ্টা করুন।
কিশোর বয়সে আগ্রহ হারানো কোনো অস্বাভাবিকতা নয়। বরং এটি তাদের বিকাশের স্বাভাবিক ধাপ। অভিভাবকদের ধৈর্য, সহায়তা ও উৎসাহই কিশোরদের ধীরে ধীরে একটি ক্ষেত্র বেছে নিয়ে সেখানে দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে।
আপনার কমেন্ট