হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত আয়াতুল্লাহ হজ শেইখ জাফর সুবহানী, কুমে বাকারুল উলুম (আ.) গবেষণা প্রতিষ্ঠানের "উম্মাহ ও সভ্যতা" নামক বৈজ্ঞানিক দ্বি-বার্ষিক জার্নালের পরিচিতি অনুষ্ঠানে, যা ইসলামী উম্মাহকে কেন্দ্র করে এবং শিয়া ও সুন্নি উলামাদের অংশগ্রহণে প্রকাশিত হয়, সেখানে তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং জ্ঞানমূলক আলোচনায় «পারস্পরিক সম্মান» ও «সুন্দর যুক্তিবাদ» বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি কুরআনের আয়াত «وَ جادِلهُم بِالَّتی هِیَ أَحسَنُ» (তাদের সঙ্গে উত্তম উপায়ে বিতর্ক কর) উল্লেখ করে বলেন, মৌলিক নীতিমালা থেকে পিছিয়ে আসা হলো «অসুন্দর বিতর্ক»। তিনি মারহুম আয়াতুল্লাহ বুরুজার্দী (রহ.)-এর সময়কার দারুল তাকরিব আন্দোলনের সফল অভিজ্ঞতার কথাও স্মরণ করান, যেখানে নীতিমালা অক্ষুণ্ণ রেখেও আর্থিক ও আধ্যাত্মিক সমর্থন প্রদান করা হতো।
আয়াতুল্লাহ সুবহানী তাঁর বক্তব্যের অন্য অংশে সমষ্টিগত কাজের বরকতের ওপর জোর দেন এবং বলেন, এটি একক কাজের চেয়ে উত্তম।
তিনি মারহুম আল্লামা মাজলিসী (রহ.)-এর প্রসঙ্গে বলেন, তিনি একটি গ্রন্থ ৪০০ জনের সহযোগিতায় লিখেছিলেন। এরপর তিনি যোগ করেন: সমষ্টিগত কাজ বেশি বরকতময় এবং কম ত্রুটিপূর্ণ।
এই মারজে তাকলিদ নতুন উদ্ভাবনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং সেই মানসিকতার সমালোচনা করেন, যেখানে মনে করা হয় সমসাময়িক যুগে নতুন কিছু নেই, সব কিছুই পূর্বসূরিদের। তিনি বলেন: আমাদের সবার দিকে তাকাতে হবে; অনেক সময় নতুন প্রজন্ম এমন কিছু উদ্ভাবন করে যা অতীতে ছিল না।
এই অনুষ্ঠানে, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ আলী মুসাভি, কুমে বাকেরুল উলুম (আ.) গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও ইসলামী অধ্যয়ন বিভাগীয় প্রধান, আয়াতুল্লাহ সুবহানীর নিকট "উম্মাহ ও সভ্যতা" দ্বি-বার্ষিক জার্নালটি উপস্থাপন করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন: এই জার্নালের প্রবন্ধসমূহ শিয়া ও সুন্নি উলামাদের যৌথ সহযোগিতায় এবং হুজ্জাতুল ইসলাম আহমদ কাওসারীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি হলো ইসলামী উম্মাহর মধ্যে ফিকহ, হাদিস, কালাম, ইলাহিয়াত ও সভ্যতাগত বিষয়ে অভিন্নতাগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া।
আপনার কমেন্ট