বুধবার ১ অক্টোবর ২০২৫ - ২১:০৬
ইমাম হাসান আসকারি (আ.)–এর রেওয়ায়াত ছাড়া ফিকহে বড় ঘাটতি থেকে যেত

ইমাম হাসান আসকারি (আ.) শিয়া ইতিহাসে এমন এক ইমাম, যিনি স্বল্প আয়ুষ্কালে (২৮ বা ২৯ বছর) আব্বাসীয় শাসকদের কঠোর নজরদারির মধ্যেও উম্মাহকে অমূল্য সম্পদ উপহার দিয়ে গেছেন। তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত “আসকারি” শব্দটি স্মরণ করিয়ে দেয় সেই সামরিক ব্যারাককে, যেখানে তাঁকে জোরপূর্বক বন্দি রাখা হতো।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেজা মুদার্রেসি ইয়াযদি এক বক্তৃতায় বলেন— ইমাম হাসান আসকারি (আ.)–এর রেওয়ায়াতগুলো ইসলামী ফিকহের মূলভিত্তি। ওয়াকফ, লেনদেন ও সামাজিক বিধান নিয়ে তাঁর নির্দেশনা আজও ফকিহদের জন্য আলোকবর্তিকা। শত্রুর চাপ সত্ত্বেও তিনি সাহাবিদের কাছে লিখিত উত্তর পাঠিয়ে ফিকহি দলিল সংরক্ষণ করেছেন।

কিন্তু ইমাম হাসান আসকারি (আ.)–এর শিক্ষা শুধু আইন বা বিধানেই সীমাবদ্ধ নয়; আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রেও তিনি রেখে গেছেন গভীর নির্দেশনা। তাঁর বাণী—“যে গোনাহকে ছোট করে দেখে, তার গোনাহই সবচেয়ে ভয়াবহ”—মানুষকে অন্তরের পরিশুদ্ধতার প্রতি সতর্ক করে দেয়। আর অহংকার বা রিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর শিক্ষা মানুষকে বিনয় ও সত্যিকারের ঈমানের পথে পরিচালিত করে।

ইমাম হাসান আসকারি (আ.) রাসূল (সা.), আহলে বাইত (আ.) এবং বিশেষভাবে ইমাম মাহদী (আ.ফা.)–এর ওপর সালাওয়াত পাঠের রীতি শিক্ষা দিয়ে গেছেন। বহু আলেম এই সালাওয়াতকে তাঁদের দৈনিক আযকারে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।

আয়াতুল্লাহ মুদার্রেসি ইয়াযদি বক্তৃতায় সাম্প্রতিক প্রতিরোধের শহীদদেরও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ও অন্যান্য শহীদদের রক্ত প্রতিরোধের স্রোতকে আরও প্রবল করেছে, যা জায়নিস্ট আগ্রাসনের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করবে।

বক্তব্যের শেষে তিনি প্রার্থনা করেন—“আল্লাহ আমাদের আহলে বাইতের (আ.) পথে অবিচল রাখুন, আমাদের নেতৃবৃন্দকে হেফাজত করুন, এবং দ্রুত ইমাম মাহদী (আ.)–এর জাহেরের ব্যবস্থা করুন।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha