হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ইরান সর্বদা এমন সকল পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও অমানবিক কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটাতে সহায়ক এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, গাজায় চলমান গণহত্যার মুখে নীরব থাকা আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষত ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের "গণহত্যা প্রতিরোধ কনভেনশন"-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রতিটি দেশের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব হলো ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত ও আইনসম্মত সংগ্রামকে সমর্থন করা, যাতে তারা জায়নবাদী উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে।
ইরান সতর্ক করে দিয়েছে যে, জায়নবাদী সরকারের পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও সম্প্রসারণবাদী মনোভাব বিবেচনায় রেখে নতুন কোনো পরিকল্পনায় তাদের সদিচ্ছা ও কার্যকলাপের ওপর ভরসা করা যায় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে বলেছে যে, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অধিকার ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের, এবং ইরান সেই সকল সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে যা গাজায় গণহত্যার অবসান, জায়নবাদী সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি সম্মান, মানবিক সহায়তার সরবরাহ এবং গাজার পুনর্গঠনের অন্তর্ভুক্ত।
বিবৃতির শেষে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ও গণহত্যার অবসান মানে এই নয় যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দায়িত্ব শেষ হয়েছে; বরং তাদের উচিত জায়নবাদী সরকারের যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ীদের আইনি বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করা।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান গাজার নিপীড়িত জনগণের জন্য দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রদানে সহযোগিতার প্রস্তুতিরও ঘোষণা দিয়েছে।
আপনার কমেন্ট