হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল-আকসা ফ্লাড (তুফানুল আকসা) অভিযানের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবারের খুতবায় তিনি বলেন, “গত দুই বছরে অভিশপ্ত ইসরায়েলি শাসন পরপর বহু পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে; তাদের সামরিক শক্তি ভেঙে পড়েছে, অর্থনীতি বিপর্যস্ত, আর তাদের সত্তা আজ বিশ্ব জনমতের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত। তথাকথিত ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর মতো সব কৌশলগত পরিকল্পনাও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তুফানুল আকসা অভিযান শুরুর মাত্র দুই দিন পরই জায়নবাদীরা বাধ্য হয়ে গাজার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়—যা তাদের প্রচারিত স্লোগান ও প্রত্যাশার পুরো বিপরীত। তারা কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, কেবল গণহত্যা চালিয়েছে। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই হামাসের সঙ্গেই আলোচনার টেবিলে বসতে হয়েছে। আজ গাজার জনগণ বিজয়ের আনন্দে উজ্জীবিত, অথচ জায়নবাদী শাসন অপমানিত, ভগ্ন ও পরাজিত।”
হাজ্ব আলী আকবরী সতর্ক করে বলেন, “শত্রু এখনো অবিশ্বাসযোগ্য; তাই প্রতিরোধ অক্ষ, বিশেষ করে হামাসকে সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কড়া সমালোচনা করে বলেন, “গাজার গণহত্যায় জায়নবাদী শাসনের অন্যতম সহযোগী ছিল ট্রাম্প। অথচ আজ সে নির্লজ্জভাবে দাবি করছে যে, সে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য!”
আরও বলেন, পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (পিজিসিসি) ও ইউরোপের সাম্প্রতিক বিবৃতি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ—যা লজ্জাজনক, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। “তিনটি দ্বীপ যেমন অতীতে ইরানের অংশ ছিল, ভবিষ্যতেও তেমনি ইরানেরই থাকবে।”
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে বিদেশি মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “এটি অন্য কারও বিষয় নয়। এসব অর্থহীন মন্তব্য বন্ধ করতে হবে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান কারও অনুমতির অপেক্ষা করে না।”
শেষে তিনি মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অবিশ্বাসযোগ্য ইউরোপীয়দের ওপর নির্ভর না করে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করাই শ্রেয়। ইরান সব মুসলমানের জন্য এক দয়ালু ও ভ্রাতৃসুলভ প্রতিবেশী।”
আপনার কমেন্ট