হাওজা নিউজ এজেন্সি: একজন প্রকৃত বন্ধু উভয় দিক থেকে সতর্ক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। কারণ, যদি বন্ধুর সততা না থাকে, সে মানুষকে পাপ বা অনৈতিক কাজের দিকে প্ররোচিত করতে পারে। আবার যদি বুদ্ধিমত্তা না থাকে, তবে এমনকি সে সহায়তার উদ্দেশ্যে কিছু করলেও তা শেষপর্যন্ত ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কেবল বুদ্ধিমত্তার আলোতে সঠিক পথ চিনে নেওয়া সম্ভব, আর কেবল সততার মাধ্যমে সেই পথ সঠিকভাবে অতিক্রম করা যায়।
মরহুম আয়াতুল্লাহ আজিজুল্লাহ খোশওয়াক্ত—যিনি হাওজায়ে ইলমিয়ার হিকমতের একজন বিশিষ্ট নৈতিক শিক্ষক—তাঁর এক নৈতিক শিক্ষা পাঠে “ভাল বন্ধুর লক্ষণ” বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য থেকে মূলত এই বিষয়গুলি উঠে আসে:
ভালো বন্ধুর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য
১. সততা বা নৈতিকতা
একজন বন্ধু যদি সততার অধিকারী না হয়, তবে সে মানুষকে সহজেই পাপ, ভুল বা বিপজ্জনক পথে প্ররোচিত করতে পারে। এমন বন্ধু কেবল অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং বিপজ্জনকও। সততা বা নৈতিকতার মাধ্যমে একজন মানুষ অন্যকে সঠিক পথে চালিত করতে পারে এবং জীবনের নৈতিক মান বজায় রাখতে সহায়তা করে।
২. বুদ্ধিমত্তা বা বিচক্ষণতা
অন্যদিকে, যদি কেউ সততার অধিকারী হলেও বুদ্ধিহীন হয়, তবে সে সহায়তার উদ্দেশ্য নিয়ে এমন কিছু করতে পারে যা শেষপর্যন্ত ক্ষতি এবং সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বুদ্ধিমত্তা বন্ধুকে সিদ্ধান্ত নিতে, সমস্যা সমাধান করতে এবং বিপদ এড়াতে সক্ষম করে।
বন্ধুত্বের সঠিক মেলবন্ধন
অতএব, প্রকৃত বন্ধু সেই ব্যক্তি যিনি উভয়ই—বুদ্ধিমান এবং সততাবান। কেবল বুদ্ধিমত্তার আলোতে আমরা সঠিক পথ চিহ্নিত করতে পারি, আর কেবল সততার মাধ্যমে সেই পথ সঠিকভাবে অতিক্রম করা যায়।
যারা এই দুটি গুণাবলী ধারণ করে, তারা শুধুমাত্র বন্ধু নয়, বরং নৈতিক ও সামাজিক জীবনে একটি স্থির এবং সহায়ক পথপ্রদর্শক। তারা বিপদ থেকে রক্ষা করে, পাপ থেকে বিরত রাখে এবং জীবনের প্রতিটি স্তরে সমর্থন প্রদান করে।
সুতরাং, একজন প্রকৃত বন্ধুকে চিহ্নিত করার জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে—তার নৈতিক চরিত্র এবং বুদ্ধিমত্তা। এই দুটি গুণাবলী যদি একত্রিত থাকে, তবে সেই বন্ধু আমাদের জন্য সত্যিই মূল্যবান এবং দীর্ঘমেয়াদে উপকারী।
আপনার কমেন্ট