হাওজা নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, “আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির চিন্তায় আমরা ও পশ্চিমা” শীর্ষক আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত কমিটির বৈঠক ইমাম খোমেইনি (রহ.) উচ্চতর শিক্ষা কমপ্লেক্সে, কোম শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের আলেম ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং তারা ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার চিন্তাধারার দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতা ও আধিপত্যবাদের (استعمار ও استکبار) বৌদ্ধিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের গভীর বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন।
অংশগ্রহণকারীরা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির পশ্চিম সম্পর্কে মতাদর্শ পুনরালোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মুসলিম সমাজে পশ্চিমের সাংস্কৃতিক ও চিন্তাগত প্রভাবের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেন এবং তার চিন্তা ও রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এই বৈঠকটি “আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির চিন্তায় আমরা ও পশ্চিমা” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বৈজ্ঞানিক ধারাবাহিক আলোচনাসভাগুলোর একটি অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমা সভ্যতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামী বিপ্লবী নেতার চিন্তাধারার স্থান নির্ধারণ এবং নতুন ইসলামী সভ্যতা গঠনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা।
হুজ্জাতুল ইসলাম ও মুসলিমিন মুফিদ হোসেইনি কুহসারি’র বক্তব্য
ইরানের হাওজা ইলমিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুফিদ হোসেইনি কুহসারি তার বক্তব্যে বলেন: “‘আমরা ও পশ্চিমা’-এর মতো বিষয়ে হাওযা ইলমিয়া (ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) কে পুনরায় তাদের বৈশ্বিক দায়িত্ব ও ভূমিকা মূল্যায়ন করতে হবে।”
হাওজার বৈশ্বিক দায়িত্ব পুনরালোচনা
তিনি ইসলামী বিপ্লবের নেতার “হাওজার চার্টার” সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যে, হাওজাগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চিন্তাগত, ধর্মীয় ও সভ্যতাগত নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। নেতার চার্টারে উল্লেখিত পাঁচটি মূল উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো— বৈশ্বিক ঔপনিবেশিকতা ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে হাওযার নেতৃত্বমূলক ভূমিকা।
আন্তর্জাতিক গবেষকদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন
বৈঠকের পরবর্তী অংশে বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদ ও গবেষকরা তাদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ও মতামত উপস্থাপন করেন। প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির চিন্তা ও পশ্চিমা বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেন।
কোরআনিক নীতির আলোকে সাংস্কৃতিক উপনিবেশ থেকে মুক্তি
তাজিকিস্তানের মিরজামউদ্দিন গাদোইভ “কোরআনিক নীতির আলোকে সাংস্কৃতিক উপনিবেশ থেকে মুক্তি” শীর্ষক প্রবন্ধে পশ্চিমা সাংস্কৃতিক প্রভাব মোকাবিলায় পবিত্র কোরআনের নির্দেশনাগুলো বিশ্লেষণ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইসলামী সমাজগুলোর সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার মূল শর্ত হলো— ঈমানভিত্তিক ও জ্ঞানমূলক পরিচয়ে ফিরে আসা।
আপনার কমেন্ট