হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হিযবুল্লাহর একজন সিনিয়র উর্ধ্বতন সদস্য:" ইসরাইল এখন ইরাক সীমান্তে পৌঁছে গেছে এবং মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) লেবাননকে খণ্ড বিখণ্ড ও বিভাযনের চেষ্টা করছে!!!!!!"
হিযবুল্লাহ লেবানন এবং অত্র অঞ্চলের দেশসমূহের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতেই নিরস্ত্র হতে চাচ্ছে না এবং অস্ত্র ত্যাগ করবে না। কিন্তু মামুরা ও ইসরাইল এবং তাদের ধামাধরা আরব সরকার গুলো চাচ্ছে লেবাননের হিযবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে নানাভাবে বিশেষ করে জটিল হাইব্রিড সামরিক,রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায়।
হিযবুল্লাহর অস্ত্র আসলে ইসরাইলের অস্তিত্বের প্রত্যক্ষ হুমকি এবং অত্র অঞ্চলের সকল দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
এ বিষয়টা সবাইকে সম্যকভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
ইসরাইল ও মাযুরা (পশ্চিমারা) বৃহত্তর ইসরাইলের আওতায় নয়া মধ্য প্রাচ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।এটা বাস্তবায়ন করতে না পারলে এই অঞ্চল থেকে পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরাকে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বের হয়ে যেতে হবে এবং এ অঞ্চলের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেল ও গ্যাস বিশ্ব অর্থনীতি ও শিল্প কলকারখানার মূল চালিকা শক্তি।কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খনিজ জ্বালানি তেল ও গ্যাসের রিজার্ভ এই অঞ্চল অর্থাৎ পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় আছে। এছাড়াও পশ্চিম এশিয়া হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও মহাদেশ সমূহের যোগাযোগের কেন্দ্র স্থল।এ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা মানে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ,চলাচল ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ।
ইসলামের প্রাণকেন্দ্র ও সূতিকাগার হচ্ছে এই অঞ্চল এবং বস্তুবাদী ভোগবাদী পশ্চিমা মতবাদ,সভ্যতা, কৃষ্টি সংস্কৃতির অস্তিত্বগত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ইসলাম ধর্ম। তাই ইসলামী বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর প্রাণকেন্দ্র ও সূতিকাগার কন্ট্রোল করার অর্থ হচ্ছে ইসলামকে সার্বিক ভাবে পদানত ও কোণঠাসা করতে পারা।বর্তমানে পাশ্চাত্য সভ্যতা, বস্তুবাদী ইলহাদী নাস্তিক্যবাদী মতবাদ ও জীবন ধারার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামের কেন্দ্র হচ্ছে এই পশ্চিম এশিয়া (মধ্যপ্রাচ্য)। তাই এ অঞ্চলে এত বেশি দ্বন্দ্ব,সংঘাত,যুদ্ধ ও গোলযোগ চলছে যেন একশো বছরের অধিক কাল ধরে এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নেই।
রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
আপনার কমেন্ট