হাওজা নিউজ এজেন্সি: ফ্রান্সে অবস্থানকালে একদিন ইমাম খোমেনির (রহ.) খানম (সহধর্মিণী) তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে যান। তিনি ইমামকে যে সময়ের কথা বলেছিলেন, ফেরার সময় তার চেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়, অথচ তখনও তিনি বাড়ি ফেরেননি।
ইমাম খোমেনি (রহ.) তাঁর জীবনের সব কাজই ঘন্টা ও মিনিট ধরে সুচারুভাবে পরিকল্পনা করতেন। সে দিন তিনি তিনবার নিজের কক্ষ থেকে রান্নাঘরে এসে (তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে) জিজ্ঞেস করেন, “খানম কি এখনো আসেননি?”
তৃতীয়বার এসে তিনি বলেন, “আমি চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তোমরা কি এমন কোনো ব্যবস্থা করতে পারো, যাতে যোগাযোগ করা যায়?”
অবশেষে তাঁর সহধর্মিণী বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি যখন এলেন, ইমাম খোমেনি (রহ.) অত্যন্ত স্নেহভরে তাঁর সামনে বসে শুধু এতটুকুই বললেন— “তুমি আমাকে চিন্তিত করে তুলেছিলে।”
এই সংক্ষিপ্ত বাক্যেই সহধর্মিণীর প্রতি ইমাম খোমেনির (রহ.) গভীর ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও মানবিক সংবেদনশীলতার প্রকাশ ঘটেছিল।
সূত্র: ইমাম খোমেনির (রহ.) জীবনাচরণ থেকে কিছু উপলব্ধি, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭০ (মারজিয়া দোবাগের বর্ণনা অনুযায়ী)
আপনার কমেন্ট