হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আত্মশুদ্ধি ছাড়া জ্ঞান এমন এক আলো, যার ভেতরে প্রকৃত নূর নেই; এমন একটি পথ, যা মানুষকে কখনোই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।
একদিন এক ছাত্র আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.)–এর কাছে উপস্থিত হলো। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন:
— “তুমি কী পড়ছো?”
ছাত্র বলল: “আমি সাহিত্য (আদাব) পড়তে চাই।”
তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন:
— “তারপর?”
ছাত্র বলল: “লুম‘আ।”
তিনি বললেন:
— “এরপর?”
ছাত্র উত্তর দিল: “রেসালাত ও মাকাসিব।”
পুনরায় প্রশ্ন করলেন:
— “তারপর?”
ছাত্র বলল: “দরসে খারেজ।”
আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) আবার জিজ্ঞেস করলেন:
— “এর পর তোমার লক্ষ্য কী?”
ছাত্র বলল:
— “আমি ইজতিহাদের স্তরে পৌঁছাতে চাই এবং একজন মুজতাহিদ হতে চাই।”
তখন আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) বললেন:
“কিন্তু কুরআনে তো বলা হয়েছে—
‘قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا’
অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিজের নফসকে পরিশুদ্ধ করেছে, সেই সফল হয়েছে।
কুরআনে এটা বলা হয়নি যে, যে মুজতাহিদ হয়েছে, সে অবশ্যই মুক্তি পেয়েছে!”
এটি একেবারেই স্পষ্ট যে, একজন ছাত্রের উচিত জ্ঞান অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা, যাতে সে প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি তাকে অবশ্যই বুঝতে হবে— জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আত্মশুদ্ধি অপরিহার্য। কারণ, যদি মানুষ নিজের নফসকে পরিশুদ্ধ না করে, তবে সে নিঃসন্দেহে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
সূত্র: দর মাহজার-এ আলেমান, পৃষ্ঠা ২৫৬
হাওজা / আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) এই সত্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে, পবিত্র কুরআনে মুক্তি ও সাফল্যকে আত্মশুদ্ধির (তাযকিয়ায়ে নফস) সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে; কেবল ইজতিহাদ বা উচ্চতর জ্ঞানগত মর্যাদার সঙ্গে নয়।
আপনার কমেন্ট