হাওজা নিউজ এজেন্সি: শিশুদের দ্বীনের প্রতি আগ্রহী করে করে তোলার জন্য কিছু কার্যকরী পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করুন
শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের দ্বীনদার জীবনযাপন দেখে শিশুরা দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই নিজেদের আচরণ, কথাবার্তা ও আমল দ্বারা ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করুন।
২. সহজ ও মজাদারভাবে দ্বীন শেখান
শিশুদের জন্য দ্বীনের শিক্ষা সহজ, মজার ও আনন্দদায়ক করে উপস্থাপন করুন। গল্প, কার্টুন, ছবি বা খেলার মাধ্যমে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো শেখানো যেতে পারে। যেমন- নামাজ, রোজা, হালাল-হারাম ইত্যাদি।
৩. ইসলামিক গল্প ও ইতিহাস বলুন
নবী-রাসূল, সাহাবা ও ইসলামের ইতিহাসের গল্প বলুন। এগুলো শিশুদের মধ্যে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।
৪. নামাজ ও কুরআন পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুদের ছোটবেলা থেকেই নামাজ ও কুরআন পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাদের সাথে জামাতে নামাজ পড়ুন এবং কুরআন তিলাওয়াত শেখান। এতে তাদের মধ্যে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।
৫. প্রশংসা ও পুরস্কার দিন
শিশুদের দ্বীনের কাজে উৎসাহিত করতে প্রশংসা ও ছোটখাটো পুরস্কার দিন। যেমন- নামাজ পড়লে বা কুরআন তিলাওয়াত করলে তাদের প্রশংসা করুন।
৬. ইসলামিক পরিবেশ তৈরি করুন
বাড়িতে ইসলামিক পরিবেশ তৈরি করুন। ইসলামিক বই, অডিও, ভিডিও ও ডেকোরেশন রাখুন। এতে শিশুরা প্রাকৃতিকভাবে দ্বীনের সংস্পর্শে আসবে।
৭. প্রশ্নের উত্তর দিন
শিশুরা কৌতূহলপ্রবণ। তাদের প্রশ্নের সহজ ও সঠিক উত্তর দিন। দ্বীন সম্পর্কে তাদের কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করুন।
৮. দোয়া ও ধৈর্য ধারণ করুন
শিশুদের দ্বীনের পথে আনার জন্য নিয়মিত দোয়া করুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহর সাহায্য চান, তিনি তাদের হিদায়াত দান করবেন।
৯. ইসলামিক কমিউনিটির সাথে যুক্ত করুন
শিশুদের ইসলামিক কমিউনিটি বা মসজিদের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করুন। এতে তারা দ্বীনদার বন্ধু ও পরিবেশ পাবে।
১০. ভালোবাসা ও স্নেহের মাধ্যমে শেখান
শিশুদের সাথে ভালোবাসা ও স্নেহের আচরণ করুন। জোরজবরদস্তি না করে ধীরে ধীরে তাদের দ্বীনের পথে নিয়ে আসুন।
শিশুদের দ্বীনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এতে ধৈর্য, ভালোবাসা ও সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা জরুরি। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন। ইলাহী আমীন।
আপনার কমেন্ট