হাওজা নিউজ এজেন্সি: তবে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, আমরা মেহমানি খেতে গিয়ে প্রকৃত মেজবানকে (আয়োজক অর্থাৎ আল্লাহ) যেনো ভুলে না যাই। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের কাছে আমাদের চাহিদা যেন শুধু দুনিয়াবি রিজিক ও নেয়ামত না হয়। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও সন্তুষ্টি যেনো আমাদের চাহিদার প্রধান বিষয় হয়।
একটু পরিষ্কার করে বলা যায়: “মানুষের জীবনের একটি আসল উদ্দেশ্য আছে, আর সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আছে কিছু মাধ্যম বা যন্ত্রপাতি। তাই আগে বুঝতে হবে, আমার আসল উদ্দেশ্য কী? যদি আসল উদ্দেশ্য হয় আল্লাহকে পাওয়া বা তাঁর একান্ত বিশ্বস্ত ও অনুগত বান্দা হওয়া, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কিছুকে শুধুমাত্র তাকে পাওয়ার জন্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এমনটা যেন না হয় যে, দুনিয়ার নেয়ামত হাসিল করাই হচ্ছে আসল উদ্দেশ্য! অর্থাৎ, মালিকের নেয়ামত পূর্ন দস্তরখানা থেকে মজার খাবার খেয়ে, স্বয়ং মালিকের ব্যপারেই উদাসীন না হয়ে যাই!!!
তাই এ বরকতময় রাতগুলোতে বেশি বেশি ইমাম জামান (আ.ফা.) এর সান্নিধ্য লাভের জন্য দোয়া করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেনো তাঁর জুহুরকে তরান্বিত করেন। এছাড়াও ১৪ মাসুমীন (আ.)-গনের কাছে তাওয়াসসুল করা, (বিশেষ করে মাওলা আলী আ.)।
(এই রাতে ১০০০ বার সুরা কদর পড়ার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত গভীর ফজিলত ও মারেফাত!)
ওস্তাদ আমিনিখাহ (হা.ফি.) বক্তব্য থেকে উদ্ধৃত
[সংগৃহীত ও পরিমার্জিত]
আপনার কমেন্ট