হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি ট্রাম্প কর্তৃক নতুন অর্থনৈতিক শুল্ক অনুমোদনের উদাহরণ টেনে বলেন, “এই নীতিগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক আধিপত্য সুসংহত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো ইউরোপ ও চীনের অর্থনীতিকে দুর্বল করতে পারে, অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নির্ভরতার চক্রে আবদ্ধ রাখবে।”
বাগদাদের জুমার ইমাম আরও যোগ করেন, “এই নীতিগুলো মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা কী না সামাজিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি। বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
নাজাফে আশরাফের এই বিশিষ্ট হাওজায়ে ইলমিয়ার শিক্ষক ইরাক, লেবানন ও সিরিয়ার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন, “মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক আর্থিক নীতিগুলো—যা স্থানীয় প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করে জাতীয় মুদ্রার মান নির্ধারণ করে—এই দেশগুলোর জন্য গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করছে।” তিনি ইরাকের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন ও মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তির কথা বলেন।
আয়াতুল্লাহ মূসাভী বলেন, “যদিও পাশ্চাত্যের ইরান বিরোধী অর্থনৈতিক অবরোধ চলছে এবং ডলারের মূল্য রেকর্ড ছাড়িয়েছে, তবুও ইসলামী প্রজাতন্ত্র নিজের জনগণকে আধুনিক অবকাঠামো ও ব্যাপক সেবা প্রদান করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, পশ্চিমা ও আরব মিডিয়া বাস্তবতা বিকৃত করে ইরানি জনগণের মধ্যে হতাশা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।”
তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন আক্রমণাত্মক নীতিকে ব্যর্থ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেবেছিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা শক্তি নিষ্ক্রিয় করে দেবে, কিন্তু শীঘ্রই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তারা এই লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার পর, তারা ইয়েমেনে মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হামলা রোধ করতে ইরানকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। তবে তাদের জানা উচিত, মার্কিন সামরিক হুমকি ইরানের উপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। কারণ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা শক্তি এতটাই শক্তিশালী যে এটি এই অঞ্চলের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং জায়োনিস্ট সরকারকে ধ্বংস করতে সক্ষম।”
আপনার কমেন্ট