হাওজা নিউজ এজেন্সি: মেয়েদেরকে হিজাব শেখানোর জন্য একটি সূক্ষ্ম ও সচেতন পদক্ষেপ প্রয়োজন। জোরজবরদস্তির পরিবর্তে আবেগ ও যুক্তিসঙ্গত ভাষায় হিজাবের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দিকগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। হিজাবের প্রতি তাদের আগ্রহ থাকলে তার প্রশংসা করতে হবে।
প্রশ্ন: ছোট মেয়ে ও কিশোরীদেরকে কিভাবে হিজাব ও এর প্রয়োজনীয়তা শেখাবো, যাতে তারা এ বিষয়ে সঠিক ধারণা পায়?
উত্তর: ধর্মীয় শিক্ষা ও হিজাবের বিষয়ে মেয়েদেরকে শেখানো ছেলেদের চেয়ে সহজ, কারণ মেয়েরা বেশি আবেগপ্রবণ এবং স্নেহ-মমতা দিয়ে তাদেরকে সহজেই গড়ে তোলা যায়।
হিজাব সংক্রান্ত একটি বড় সমস্যা হলো আমরা এটাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করি না। অথচ হিজাবের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দিকগুলো যদি ভালোভাবে পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে এ বিষয়ে পরিকল্পনা করা সহজ হয়।
আমাদের সন্তানদের বুঝতে হবে যে, একজন মানুষ হিসেবে তার হিজাব পরার প্রয়োজন কী এবং সমাজের একজন সদস্য হিসেবে কেন তার হিজাব পালন করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
১. আবেগের সাথে যুক্তির সমন্বয়: মেয়েদের আবেগপ্রবণতাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে হিজাবের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক তাৎপর্য বোঝানো যায়।
২. ধাপে ধাপে শিক্ষা:
- প্রাক-বয়ঃসন্ধিতে হিজাবের ধারণা দেওয়া
- কিশোর বয়সে এর দার্শনিক ভিত্তি ব্যাখ্যা করা
- যুবতী বয়সে সামাজিক দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করা
৩. ব্যক্তিগত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ:
- ব্যক্তি হিসেবে পবিত্রতা রক্ষার উপায়
- মুসলিম সমাজের অঙ্গীকার হিসেবে এর ভূমিকা
- নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
৪. প্রাত্যহিক অনুশীলন:
- পরিবারে হিজাবের চর্চা
- ইতিবাচক রোল মডেল উপস্থাপন
- সৃজনশীল কর্মশালার আয়োজন
সতর্কতা: কঠোর নিয়ন্ত্রণ বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিজাবের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে।
উৎস: ইসলামিক কাউন্সেলিং সেন্টার, সামাহ
আপনার কমেন্ট