হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ মাহদি শাবজান্দেহদার, হাওজা শিক্ষাকেন্দ্রগুলির সর্বোচ্চ পরিষদের সচিব, হরমোজগানের হাওজার পরিচালক, শিক্ষক ও তালিবে ইলমদের সাথে সাক্ষাতে তালিবে ইলম হওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন: তালিবে ইলম হওয়া মানে হলো আহলে বাইত (আ.)-এর জ্ঞানের, লক্ষ্যের এবং মহান আদর্শের সেবক হওয়া। যদি কেউ তার কাজের গুরুত্ব বোঝে, তবে সে কখনো ক্লান্ত হবে না এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন: তালিবে ইলমের পথ অত্যন্ত গৌরবময় পথ, যা আল্লাহ তায়ালা অনেক তরুণের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছুজনকে প্রদান করেছেন। এর চেয়ে মূল্যবান কোনো দায়িত্ব নেই। তালিবে ইলম হওয়া আহলে বাইত (আ.)-এর মহান লক্ষ্য অর্জনের পথে থাকা, যে লক্ষ্য মানবজাতিকে উদ্ধার করে তাদের চিরস্থায়ী মুক্তির দিকে পরিচালিত করা এবং অত্যাচারী ও উপনিবেশবাদীদের হাত থেকে মুক্ত করা।
আয়াতুল্লাহ শাবজান্দেহদার সূরা মায়েদাহর ৩৫ নম্বর আয়াতের উল্লেখ করে বলেন:
"হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো, তাঁর নিকট পৌঁছার জন্য উপায় সন্ধান করো এবং তাঁর পথে সংগ্রাম করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।"
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন: সাফল্যের মূল স্তম্ভ হলো তাকওয়া, মুজাহাদা (সংগ্রাম) এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের সঠিক পথ অনুসন্ধান।
তিনি আরও যোগ করেন: ইসলামকে সেবা দেওয়ার প্রথম দায়িত্ব হলো নিজের আত্মগঠন, যা দুইটি ক্ষেত্রে আবশ্যক: প্রথমত আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়ত এতটা যোগ্যতা অর্জন করা যাতে আল্লাহর বাণী ও আহলে বাইতের (আ.) বক্তব্য যথাযথভাবে বোঝা ও সুন্দরভাবে অন্যদের কাছে পৌঁছানো যায়।
আয়াতুল্লাহ শাবজান্দেহদার তালিবে ইলমদের উদ্দেশে কিছু পরামর্শ প্রদান করে বলেন: হাওজা শিক্ষাব্যবস্থায় সফলতার অন্যতম স্তম্ভ হলো "মুবাহাসা" (আলোচনামূলক অধ্যয়ন) এবং পূর্ব প্রস্তুতি। তিনি সতর্ক করে বলেন: হাওযার সেই কার্যকর ঐতিহ্যগুলো, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে উজ্জ্বল ফল দিয়েছে, কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
তিনি উল্লেখ করেন: শিরাজে সমাধিস্থ মহান আলেম আয়াতুল্লাহ শেইখ ইব্রাহিম মহাল্লাতি বলতেন,
"যে তালিবে ইলম প্রস্তুতি ছাড়া ক্লাসে অংশগ্রহণ করে, সে ফাসিক (পাপাচারী), কারণ সে নিজের ও শিক্ষকের সময় নষ্ট করে।"
শেষে আয়াতুল্লাহ শাবজান্দেহদার বলেন: সঠিক পরিকল্পনা ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে শয়তান, প্রবৃত্তির খারাপ দিক এবং বিভ্রান্তিকর মাধ্যমগুলোর প্রতারণা এড়ানো সম্ভব। তিনি পরামর্শ দেন: হাওযার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশযুক্ত শহরগুলো, যেমন কিছু ছোট শহর, কোম শহরের তুলনায় বেশি উপযোগী।
আপনার কমেন্ট