সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ - ১১:০২
মহিলা তালিবে ইলমদের চাদর ইসলামী মূল্যবোধের প্রতীক ও প্রচারক

আয়াতুল্লাহ মরতজা সদ্দূকী মাজানদারানি, আল-জাহরা (সা.) বিশেষজ্ঞ ধর্মীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের এক সমাবেশে বক্তৃতা করেন। তিনি সেখানে মহিলা তালিবে ইলমদের (ছাত্রীদের) হিজাবের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মাজানদারানের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ মরতজা সদ্দূকী মাজানদারানি, আল-জাহরা (সা.) বিশেষজ্ঞ ধর্মীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের এক সমাবেশে বক্তৃতা করেন। তিনি সেখানে মহিলা তালিবে ইলমদের (ছাত্রীদের) হিজাবের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং বলেন:
"আপনাদের চাদর আপনাদের বার্তা বহন করে এবং আপনাদেরকে দেখে অন্যদের মনে ইসলাম ও ইসলামী আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"

তিনি আরো বলেন:
"এই সময়ে এবং এই শহরে পরিপূর্ণ পর্দাশীল নারীদের উপস্থিতি গর্বের বিষয়। যদিও কিছু মানুষ আপনাদের দেখে ইসলামকে অনুভব করে আপনাদের অবমাননা করতে পারে, তবে এটি হিজাবের প্রভাবশক্তির প্রমাণ, যা অন্যদের মনে ইসলামী মূল্যবোধের স্মরণ করিয়ে দেয়।"

আয়াতুল্লাহ সদ্দূকী এরপর ইমাম সাদিক (আ.)-এর একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন:
"ধর্মের প্রচার শুধু মুখের কথায় নয়, কর্মের মাধ্যমেও হতে হবে।"
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মহিলা তালিবে ইলমদের উচিত তাদের আচরণ ও পর্দার মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক হওয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে নারীদের মাঝে হিজাবের প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন:
"হিজাব নারীজাতির মর্যাদা ও মূল্য। আলেম সমাজের কর্তব্য এটি নারীদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। হিজাব নারীদেরকে উচ্চ সম্মান ও মূল্য দেয়, কারণ নারীর মূল্য স্বর্ণের চেয়েও বেশি। নারীরা পুরুষদের কাছে অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এই মর্যাদা সংরক্ষণ করতে হবে। এর প্রচারে নারীরা পুরুষ আলেমদের তুলনায় আরও বেশি প্রভাবশালী।"

তিনি নরম ভাষা ও নম্রতার মাধ্যমে "আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার" (সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ) পালনের গুরুত্বের উপরও জোর দেন এবং বলেন, ঠিক যেমন আল্লাহ মহানবী (সা.)-কে নরম ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।

আয়াতুল্লাহ সদ্দূকী আরও বলেন:
"নারীরা তাদের পর্দার মাধ্যমে রেজা খানের স্বৈরশাসন পরাজিত করেছিল। এটি প্রমাণ করে, ইতিহাস ও সমাজে হিজাবের প্রভাব কতটা গভীর।"
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন:
"বন্ধুত্বপূর্ণ ও নম্র ভাষা ধর্ম ও হিজাবের প্রচারে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখে। মহিলা তালিবে ইলমদের উচিত এ বিষয়টি বিশেষভাবে মনে রাখা, যাতে তারা ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।"

শেষে আয়াতুল্লাহ সদ্দূকী বলেন:
"আমি গর্বিত যে আপনাদের প্রতিবেশী। আশা করি আপনারা কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে ধর্ম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। আপনাদের কর্ম ও কথা যেন ইমামগণ (আ.) এবং ইমাম মাহদি (আ.জ.)-এর সন্তুষ্টির কারণ হয়।"

এই সাক্ষাৎকার ছিল একটি অনুপ্রেরণার মুহূর্ত, যাতে আল-জাহরা (সা.) মাদ্রাসার ছাত্রী ও শিক্ষিকারা ধর্ম প্রচার এবং ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণের পথে আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত হন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha