হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কাজি প্রদেশে ওলীয়ে ফকীহের প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ দরি নজফআবাদি "৫২ জন শহীদ ছাত্র-শিক্ষক সম্মেলনের" প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা প্রদান করে বলেন, শিক্ষা ও চরিত্রগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম, এবং এটি সমাজের অগ্রগতির মূল স্তম্ভ। তিনি বলেন, শিক্ষা কেবল জ্ঞান হস্তান্তরের জন্য নয়, বরং সচেতন, দায়বদ্ধ ও মূল্যবান মানুষ গড়ে তোলার কার্যক্রমও বটে।
তিনি আরও বলেন, এই পবিত্র ক্ষেত্র দেশের উন্নয়ন ও বিকাশের ভিত্তি গড়ে তোলে এবং এতে যথাযথ গুরুত্ব না দিলে, অন্যান্য খাতে প্রকৃত সফলতা অর্জন সম্ভব নয়।
আয়াতুল্লাহ দরি নজফআবাদি ব্যাখ্যা করেন যে, শিক্ষা ও চরিত্রগঠন জীবনের সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতির কেন্দ্রবিন্দু। একে আমরা বৈজ্ঞানিক, নৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করি।
তিনি বলেন, ঈমানদার, পরিশ্রমী, আত্মত্যাগী ও ইতিহাস গঠনের ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষরাই দেশকে এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
তিনি ইসলামী ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা ও চরিত্রগঠনের বিশেষ অবস্থানের উল্লেখ করে বলেন, ইসলামী সমাজব্যবস্থায় এটি কেবল জ্ঞান প্রচারের মাধ্যম নয়, বরং এমন চিন্তাশীল, সচেতন ও প্রতিশ্রুতিশীল মানুষ গঠনের পথও বটে।
তিনি আরও জানান, প্রদেশে দীনী বিদ্যালয় ও হাওজা ইলমিয়ার (ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) সম্প্রসারণে যে প্রচেষ্টা হয়েছে, তাতে "ইমাম মাহদী" নামক বিদ্যালয় ও নারী শিক্ষার্থীদের হাওযাগুলো চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি লাভ করেছে এবং প্রতিশ্রুতিশীল ও দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি শিক্ষকদের ভূমিকার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষা ও চরিত্রগঠনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সকল শিক্ষাগত ও প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠানের একত্রিত প্রচেষ্টা আবশ্যক।
বক্তৃতার শেষে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সমাজের সকল স্তরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে প্রিয় দেশ ইরান শিক্ষা ও চরিত্রগঠনের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক আদর্শে পরিণত হতে পারবে।
আপনার কমেন্ট