বৃহস্পতিবার ৮ মে ২০২৫ - ১২:০১
কিয়ামত দিবসে আলেমদের মর্যাদা

আমাদের উচিত সত্যিকার আলেমদের সম্মান করা, তাদের জ্ঞান থেকে উপকৃত হওয়া এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন,
  ثلاثةٌ یَشْفَعُونَ الی اللهِ یوم القیامَةِ فَیُشَفِّعُهُم: الانبیاء ثُمَّ العُلماء ثُمَّ الشُّهداء

তিন শ্রেণির লোক কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন এবং আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবুল করবেন: 

১. নবীরা, 

২. তারপর আলেমরা, 

৩. অতঃপর শাহিদরা (শহীদগণ)।

[বিহারুল আনোয়ার, খণ্ড- ২, পৃষ্ঠা- ১৫]

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
শিয়া ইসলামে আলেমদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, কারণ তারা নবী (সা.) ও আহলে বাইত (আ.)-এর জ্ঞান ও আদর্শের ধারক-বাহক। এই হাদিস অনুযায়ী, আলেমগণ নবীদের পরেই সর্বোচ্চ সুপারিশের অধিকারী, যা তাদের সমাজে জ্ঞান ও ধর্মীয় নেতৃত্বের গুরুত্বকে তুলে ধরে। 

শিক্ষা:

১. জ্ঞানার্জনের মর্যাদা: আলেমরা শুধু ধর্মীয় শিক্ষাই দেন না, বরং তারা সমাজের নৈতিক পথপ্রদর্শক এবং আধ্যাত্মিক সুপারিশকারী। 

২. পয়গম্বর (সা.) ও আহলে বাইতের জ্ঞানের ধারক: শিয়া মতবাদে সত্যিকার আলেমরা পয়গম্বর (সা.) ও ইমামগণের (আ.) শিক্ষার ভিত্তিতে সমাজকে পরিচালনা করেন। 

৩. সুপারিশের অধিকার: নবী ও ইমামদের পর আলেমরাই কিয়ামতের দিন উম্মতের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবেন। 

“আলেমের (দোয়াত/কলমের) কালি শহিদদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান”

- ইমাম আলী (আ.)

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha