হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ হায়েরি শিরাজী (রহ.) এর মতে, সন্তান লালন-পালনে দ্বীনদারি ও তাকওয়ার বিষয়টি প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে, অথচ এ ছাড়া জ্ঞানও অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
মূল বক্তব্য: “আপনারা যারা সন্তানকে ডাক্তার বানানোর জন্য শিক্ষা দিচ্ছেন ও খরচ করছেন—এটা অর্ধেক কাজ। বাকি অর্ধেক কাজ বাকি রয়েছে।
সন্তানের 'ডাক্তার হওয়া' কূপ থেকে পানি তোলার ডোল (পাত্র) বড় করার মতো।
আপনার সন্তান ডাক্তার হয়ে এই কূপ (জ্ঞানের ভাণ্ডার) থেকে পানি তুলবে, কিন্তু এর দড়িটা (দায়িত্ববোধ) ডোলের ওজনের সমান শক্তিশালী হতে হবে। জ্ঞান মানেই দায়িত্ব। তাই জ্ঞান যত বাড়ে, দায়িত্ববোধের দড়ি তত মজবুত হতে হবে। সুতরাং আপনাকে দু'ভাবে বিনিয়োগ করতে হবে:
১. সাক্ষরতা অর্জনের খরচ
২. দায়িত্ববোধ ও তাকওয়া অর্জনের খরচ
সালেহ (সৎ) হওয়া শুধু জ্ঞানী হওয়া নয়। সালেহ হওয়া মানে জ্ঞানের ডোলের দড়ি শক্ত করা। ডোলে যত বেশি পানি (জ্ঞান) থাকে, দড়ি (তাকওয়া) তত শক্তিশালী হতে হবে।
আপনি সন্তানের শিক্ষার জন্য যত খরচ করেন, তার দ্বীনদারির জন্যও কি খরচ করবেন না? যদি দ্বীনদারি অর্জনে খরচ লাগে, তাহলে দ্বিধাবোধ করবেন না! যেমন:
- যদি কোনো স্কুলে গিয়ে আপনার সন্তান নামাজি হয়ে ওঠে, ইসলামের সেবায় আত্মনিয়োগ করে এবং জ্ঞানও অর্জন করে
- অন্যদিকে আরেক স্কুলে শুধু জ্ঞান অর্জন করে, নামাজ-ইবাদতকে উপেক্ষা করে।
যদি দ্বীনদারি শেখানো স্কুলের ফি দ্বিগুণও হয়, তবু তা মূল্যবান। এখানে বিনিয়োগ করুন। আপনি সন্তানের দুনিয়ার জন্য যেমন খরচ করেন, তার আখিরাতের জন্যও খরচ করুন।”
সূত্র: আয়াতুল্লাহ হায়েরি শিরাজী (রহ.)-এর বই তামসিলাত
আপনার কমেন্ট