হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, "কোম হাওযার পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষ" শীর্ষক অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নেতার বার্তা বিশ্লেষণ বিষয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমীন মেহদী সোলেইমানি আরদেহালী (প্রধান, মজলিসে উমূমি, হাওযায়ে ইলমিয়ায়ে কোম) এবং হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমীন আব্দুল মজীদ মাকামি (সহ-সভাপতি)। সঞ্চালনা করেন সাইয়্যেদ মেহদী মোসাভি।
মোসাভি বৈঠকের শুরুতে বলেন, এই বৈঠক একটি ধারাবাহিক বিশ্লেষণমূলক আলোচনার অংশ, যার কেন্দ্রবিন্দু হলো সর্বোচ্চ নেতার গুরুত্বপূর্ণ, কৌশলগত ও ভবিষ্যৎনির্দেশক বার্তা। এই বার্তাটি গত শতাব্দীর হাওযা ও শিয়া আলেম সমাজের অভিজ্ঞতার নির্যাস এবং একটি রূপান্তরমূলক দলিল।
তিনি একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন: আপনার দৃষ্টিতে, বর্তমান দেশের বাস্তবতা বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, নেতার বার্তার কোন অংশ বা দিকটি হাওযার বিশেষ মনোযোগ দাবি করে? হাওযা কোন ক্ষেত্রে গভীর, চিন্তাশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে যাতে এই বার্তা থেকে বাস্তব কৌশল বের করে আনা যায়?
সোলেইমানি আরদেহালী বলেন: বার্তাটি হাওযার জন্য একটি বৈশ্বিক ও সভ্যতামূলক দলিল
হুজ্জাতুল ইসলাম সোলেইমানি আরদেহালী বলেন, বর্তমানে আমরা হাওযার নতুন শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। মহান আল্লাহর শুকরিয়া যে ইরানের সকল হাওযার ব্যবস্থাপনায় আয়াতুল্লাহ আরাফি ও তাঁর সহযোগীদের প্রচেষ্টায় এই মহান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলেম ও মারাজে তাক্লিদ এতে অংশগ্রহণ করেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছেন। এই সম্মেলনের শীর্ষবিন্দু ছিল সর্বোচ্চ নেতার কৌশলগত ও ঐতিহাসিক বিবৃতি, যা নানা স্তরের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে এবং যার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বার্তার প্রাথমিক লক্ষ্য হলো কোম হাওযা, এরপর দেশের অন্যান্য হাওযাসমূহ, এরপর হাওযা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবীরা এবং সর্বশেষে সমগ্র ইরানি জাতি। অর্থাৎ, এটি একটি সর্বজনীন বার্তা যা সমাজের সর্বস্তরের প্রতি দায়িত্ব সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, কোম হাওযা ইসলামের প্রকৃত বার্তা প্রচারে সফল হয়েছে এবং সর্বোচ্চ নেতার ভাষায় এটি "শতাব্দীর এক অলৌকিক ঘটনা"। এটি মরহুম আয়াতুল্লাহ হায়রি ইয়াজদির এবং অন্যান্য আলেমদের প্রচেষ্টার ফল, যার প্রতিফলন হলো ইমাম খোমেইনির (রহ) মতো মহান নেতৃত্ব।
তিনি বলেন, কোম হাওযার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ফল হলো ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা। বর্তমানে ইমাম খোমেইনির উপযুক্ত উত্তরসূরি সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ী দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে এই রাষ্ট্রকে নানা সংকট অতিক্রম করিয়েছেন। তবে কাজ এখানেই শেষ নয়। এই ঐতিহাসিক বার্তার প্রেরণ প্রমাণ করে যে, অতীতের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে ভবিষ্যতের জন্য নতুন পথ খুলতে হবে।
আপনার কমেন্ট