হাওজা নিউজ এজেন্সি: তবে মরহুম আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.)-এর বিশেষ তাগিদ এমন যে, এই দোয়া হতে হবে হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত- খাঁটি নিয়ত ও আন্তরিক আকুতি সহকারে, শুধুমাত্র মুখে উচ্চারিত শব্দমালা নয়। এজন্য তাওবা ও আল্লাহর দিকে প্রকৃত প্রত্যাবর্তন অপরিহার্য।
মরহুম আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) তাঁর বাণীতে স্পষ্ট করেছেন, “জীবনের সকল সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো নির্জনে ইমামে যামানা (আ.ফা.)-এর শুভাগমনের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করা। কেবল 'আজ্জিল ফারাজাহু' বলার মতো আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং হৃদয় থেকে উৎসারিত দোয়া- যাতে থাকে খাঁটি নিয়ত, আন্তরিক আকুতি এবং গুনাহ থেকে তাওবার দৃঢ় সংকল্প।”
সূত্র: ‘হযরত হুজ্জাত (আ.ফা.)’ গ্রন্থ, পৃষ্ঠা- ২২৭
সংযোজন: গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ
- দোয়া করতে হবে নির্জনে, একান্তে
- নিয়ত হতে হবে সম্পূর্ণ খাঁটি
- গুনাহ থেকে তাওবা করা জরুরি
- দোয়ায় থাকতে হবে গভীর আন্তরিকতা
বিশেষ নোট: আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.)-এর এই শিক্ষা বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যখন আমরা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত, তখন ইমাম মাহদী (আ.)-এর শুভাগমনের জন্য আন্তরিক দোয়াই হতে পারে আমাদের সকল কষ্টের মুক্তির সোপান।
প্রতিদিন কিছু সময় নির্জনে বসে ইমাম (আ.ফা.)-এর ফারাজের (আবির্ভাব) জন্য বিশেষ দোয়া ও ইস্তেগফার পাঠ করা উচিত। এতে আল্লাহর রহমত নাজিল হবে এবং জীবনের সকল সংকট থেকে মুক্তি মিলবে ইনশাআল্লাহ।
আপনার কমেন্ট