মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ - ২০:১৭
ইমাম রেযা (আ.)-এর যিয়ারতকারীর জন্য জান্নাতের গ্যারান্টি

আয়াতুল্লাহিল উজমা শুবাইরি জানজানী (হাফি.) ইমাম জাওয়াদ আলাইহিস সালামের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে ইমাম রেযা (আ.)’র জিয়ারতের বিশেষ ফযিলত বর্ণনা করেছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শুবাইরি জানজানী (হাফি.) জান্নাতের গ্যারান্টি বিষয়ে লিখেছেন:

ইমাম মুহাম্মাদ আত-তাকী আল-জাওয়াদ (আ.) বলেছেন,
أَنَا ضَامِنٌ لِلْجَنَّةِ لِمَنْ زَارَ قَبْرَ أَبِي بِطُوسٍ وَهُوَ يَعْرِفُ حَقَّهُ
আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের জামিনদার যে তুসে আমার পিতার কবর যিয়ারত করবে, যখন সে তাঁর প্রকৃত মর্যাদা জানবে।
[উয়ুনুল আখবারির রেযা (আ.), খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৫৬]

আয়াতুল্লাহ জানজানির (হাফি.) ব্যাখ্যা:
ইমাম রেযা (আ.)-এর যিয়ারত - সরাসরি হোক বা দূর থেকে- মুস্তাহাব (প্রশংসনীয় আমল) হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:

১. এই হাদিসে ইমাম জাওয়াদ (আ.) সরাসরি জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছন,

২. শর্ত হচ্ছে যিয়ারতকারীকে ইমাম রেযা (আ.)-এর প্রকৃত মর্যাদা ও অবস্থান জানতে হবে,

৩. তুস (বর্তমান মাশহাদ) শহরে ইমাম রেযা (আ.)-এর পবিত্র মাজার অবস্থিত,

৪. যিয়ারতকারীকে অবশ্যই আহলে বাইত (আ.)-এর মর্যাদা ও ইমামতের ধারণা বুঝতে হবে।

জাফরি মাজহাবের দৃষ্টিকোণ:
আহলে বাইত (আ.)-এর মাজার যিয়ারত শুধু সম্মান প্রদর্শন নয়, বরং তাদের ওয়ালায়াত ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ। ইমাম রেযা (আ.)-এর মাজার বিশেষ বরকতময় স্থান হিসেবে বিবেচিত, যেখানে অসংখ্য মুমিন নেকী অর্জন করে থাকে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha